রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে প্রেরণ
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার উপর গেরোয়া পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়েরকরা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তিনি এজাহার ভুক্ত আসামী ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজীর করা হলে তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চায়। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেসময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী আদালতে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোশ দাবী করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আদালতে তার পক্ষের আইনজীবীরা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবার ঘোষণা দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে আনা হয়। এ সময় সনাতন ধর্মাবলাম্বীরা আদালতের বারান্দায় তার মুক্তি দাবীতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে শুনানি শেষে কারাগারে নেয়ার সময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের প্রীজন ভ্যানের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন সনাতনীরা।
গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফেরার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ নানান ইস্যুতে আন্দোলনে আলোচনায় আসে চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী । লালদিঘি ময়দানে তার নেতৃত্বে ডাকা একটি কর্মসূচীকে কেন্দ্রকরে শহরের নিউ মার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে গত৩১ অক্টোবর ফিরোজ খান নামে চট্টগ্রামের বিএনপি এককমীর্ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন । এতে তিনি সহ ১৯জন ইসকন নেতাকে অভিযুক্ত করাহয়। এই মামলায় এর আগে আরো দুজনকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার পরবতীর্ সনাতনীদের কর্মসূচীর ব্যাপারে প্রশাসন সম্পূর্ণ সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.