চট্টগ্রাম নগরী থেকে অপহৃত শিশুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

চট্টগ্রাম নগরী থেকে অপহৃত শিশুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উদ্ধার ও অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত পর্যন্ত র‌্যাবের চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সদর দফতরের গোয়েন্দা ইউনিটের যৌথ অভিযানে শিশুটি উদ্ধার হয় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন, দুলাল মিয়া (৪৮) ও মোরশেদ মিয়া (৫০)।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার দুজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায়। দুলাল শিশুটিকে চুরি করে ১ লাখ টাকায় মোরশেদের কাছে বিক্রি করেছিলেন। দুলাল ও তার স্ত্রী রুনা বেগম পেশাদার শিশু চোর। তারা চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ আরও বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু চুরি করে বিক্রি করে। কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার এ সংক্রান্ত একটি মামলায় রুনা বর্তমানে কারাগারে আছেন। চুরির শিকার ১৫ মাস বয়সী শিশু রাব্বির মা-বাবা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা বলে র‌্যাব জানায়।

র‌্যাবের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদর দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ফাতেমা আক্তার বোয়ালখালী থেকে নেত্রকোণা যাবার উদ্দেশে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যান। সেখানে দুলালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দুলাল তাকে জানায়, ওইদিন আর নেত্রকোণার উদ্দেশে আর কোনো ট্রেন ছাড়বে না, এক রাত তার বাসায় থাকলে পরদিন একসাথে ট্রেনে করে তারা নেত্রকোণা যাবেন। ফাতেমা সরল বিশ্বাসে দুলালের সঙ্গে যান।

কিন্তু পরদিনও নানা অজুহাত দেখিয়ে দুলাল ফাতেমা ও তার সন্তানদের নগরীর বাকলিয়ায় একটি বাসায় ‘আটকে’ রাখেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে সুযোগ বুঝে দুলাল শিশু রাব্বিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফাতেমার স্বামী গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। ফাতেমা আক্তার বিষয়টি র‌্যাবকেও অবহিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ পেয়েই তথ্য সংগ্রহ ও আসামি শনাক্তে অভিযানে নামে র‌্যাব। কিশোরগঞ্জ সদরে অবস্থান শনাক্ত করে বুধবার বিকেলে দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল জানায়, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ব্যক্তির কাছে শিশুটিকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।

এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মোরশেদের বাড়িতে বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে রাব্বিকে উদ্ধার করে মোরশেদকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মোরশেদ জানায়, তিনি ১৭ বছর বিদেশে ছিলেন। তাদের পাঁচ মেয়র। একটি ছেলে সন্তানের আশায় দুলালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তার জ্ঞাতসারেই দুলাল শিশুটিকে চুরি করেছিল এবং পরবর্তীতে শিশুটিকে মোরশেদ কিনে নেন।

এ ঘটনায় শিশু রাব্বির বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার দুজনকে বাকলিয়া থানায় এবং শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে দেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.