সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হলো এমএলআরএস ও শোরাড মিসাইল

১,৫১৬

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরের নতুন সংযোজিত একটি এমএলআরএস রেজিমেন্ট আর্টিলারির ৩য় ব্যাটারী এর অন্তর্ভুক্তিকরণ, একটি শোরাড মিসাইল রেজিমেন্ট আর্টিলারি এর পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুল হালিশহর, চট্টগ্রাম এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন দি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

আর্টিলারি ব্যাটারীর অন্তর্ভুক্তিকরণ ও নবগঠিত ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিটসমূহের সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সেই উন্নয়নের পথ ধরে আজকের এই ইউনিটের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠিত হলো এবং একই সাথে বাস্তবায়িত হলো সামরিক বাহিনীর উন্নয়নের রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আরেকটি ধাপ।

এরপর সেনাবাহিনী প্রধান দি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এবং এ রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সেনাবাহিনী প্রধান ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য, দেশমাতৃকার সেবায় সক্রিয় অবদানের কথা স্মরণ করেন। আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে এই রেজিমেন্টের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।

আর্টিলারি রেজিমেন্টে নতুন ব্যাটারী অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শোরাড মিসাইল রেজিমেন্ট এর পতাকা উত্তোলন এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে সেনাবাহিনী প্রধানের উপস্থিতিতে উক্ত রেজিমেন্টদ্বয়ের সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি ও প্রতিটি সদস্যের মাঝে আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিকনির্দেশনা, অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় ১২০ কিলোমিটার ও ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম সমরাস্ত্র সংযোজনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেনাবাহিনী প্রধান বাহিনীর এই আধুনিকায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

উক্ত অনুষ্ঠানসমূহে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মোঃ মোশফেকুর রহমান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মুহাম্মদ জুবায়ের সালেহীন সহ ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাগণ, অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.