অগ্নি নিরাপত্তায় বিশ্বমানের স্বীকৃতি বিএম কনটেইনার ডিপো’র

১৪

‘৯ম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৪’ -এ ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) কর্তৃক শিল্প বিভাগে দেশের সেরা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাসম্পন্ন শিল্প-স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেল দেশের অন্যতম শিল্প পরিবার স্মার্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর সিস্টার কনসার্ন বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেড।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসাব সেফটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। স্মার্ট গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন মাইনুল আহসান মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে সেফটি এক্সিলেন্স-চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করেন।

ইসাব চারটি বিভাগে (আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, শিল্প-আরএমজি এবং শিল্প) সেক্টরে নিরাপত্তা শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কার ঘোষণা করে। বিচারক প্যানেল ছিলেন বুয়েট, কুয়েটের অধ্যাপক এবং দেশের প্রথিতযশা স্থপতিবৃন্দ।

বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেড বাংলাদেশের প্রথম শিল্প যেখানে সাধারণ ফায়ার ডিটেকশন, ফায়ার হাইড্রেন্ট এবং স্প্রিংকলার সিস্টেম ছাড়াও এর পুরো ২৪ একর ইয়ার্ড এবং ওয়ারহাউজ এলাকা জুড়ে অ্যালকোহল প্রতিরোধী ফোম ফায়ারফাইটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। সবধরণের বিপজ্জনক পণ্য হান্ডলিং করার জন্য আইএমডিজি কোড অনুসারে রাসায়নিক সুরক্ষা বাড়াতে অফ-ডক ডিপোটির ওয়ারহাউজগুলোতে ৩০০টি রাসায়নিক ডিটেক্টরও ইনস্টল করা হয়েছে। এছাড়াও ডিপোটিতে নিজস্ব ফায়ার ব্রিগেড রয়েছে, যাদের নেতৃত্বে আছেন ফায়ার এবং সিভিল ডিফেন্স অথরিটির একজন প্রাক্তন অফিসার।

সম্প্রতি স্মার্ট গ্রুপের রাসায়নিক, পলিমার এবং এলপিজি শিল্পের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের জন্য বিদ্যমান ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেমের পাশাপাশি অ্যালকোহল প্রতিরোধী ফোম সিস্টেম ইনস্টল করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেডে এমন বিশ্বমানের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অথরিটি ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৪ জুন রাতে সীতাকুন্ডে অবস্থিত বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেডে আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারান অর্ধশত মানুষ। বিধ্বস্ত হয়ে যায় ডিপোর বিশাল অবকাঠামো। বন্ধ হয়ে পড়ে চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ এই বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোর কার্যক্রম। দুর্ঘটনার পর প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন রূপে সাজানো হয় বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত বিএম কন্টেইনার ডিপো। অগ্নি নিরাপত্তায় বসানো হয় অত্যাধুনিক ফায়ার সিস্টেম। ডিপো কর্মকর্তারা বলেন, আগামীতে সেবা ও মানে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মডেল ডিপো হবে বিএম কন্টেইনার ডিপো।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.