ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: গাছ চাপায় শিশুসহ নিহত ২, নোঙ্গর ছিঁড়ে লাইটার জাহাজ উপকূলে

৪০

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাসে চট্টগ্রামে এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একশিশু মারা গেছে মীরসরাইয়ে, এক বৃদ্ধ মারা গেছে সন্দ্বীপে।

শুক্রবার ( ১৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় কাটাবিল এলাকার হাসমত আলী ভূঁইয়া বাড়িতে গাছ পড়ে সিদরাতুল মুনতাহা আরিয়া (৪) নামে এক শিশু মারা যায়।

নিহত মুনতানা ওই বাড়ির আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে। মুনতাহার চাচা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ঘরের সবার অগোচরে শুক্রবার বিকেলে বাড়ির সামনে গেলে একটি গাছ পড়ে আমার ভাতিজি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঝড়ের সময় বিকেলে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে গাছের ডাল ভেঙে আব্দুল ওহাব (৭১) নামে এক বৃদ্ধ প্রাণ হারান। ওই সময় মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে দমকা ঝড়ো বাতাসে মীরসরাইসহ বিভিন্ন উপকূলী উপজেলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মীরসরাইয়ের ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌর এলাকায় ব্যাপক গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। জমির পাকা আধাপাকা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। বৃহম্পতিবার রাত থেকে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বিদ্যুতের কারণে বাসা বাড়িতে পানি না থাকায় কষ্ট রয়েছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে দুপুরের পর থেকে মুসলধারে বৃষ্টির কারণে শীতকালীন সবজি ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। পানি না সরলে নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকেরা।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলার প্রভাবে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে এক শিশু গাছ পড়ে মারা গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে ঘূর্নিঝড়ে সতর্কতা সংকেত ৬ নম্বর থেকে ৩ নম্বরে নেমে এসেছে। আমরা বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে নেমেছি।

ঝড়ে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে নোঙ্গর ছিড়ে পতেঙ্গা উপকূলে ভেসে আসে একটি লাইটার জাহাজ। এছাড়া কয়েকটি উপজেলায় কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে গেলেও ভারি বর্ষণের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসাবাস কারীদের সরিয়ে আনার জন্য মাইকিং করছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.