রাঙ্গুনিয়ায় দুই গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর অগ্নিকাণ্ড

৩৮৫

রাঙ্গুনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি, দোকান ভাঙচুর ও ডেইরি ফার্ম পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় দুই পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। রশিদিয়া পাড়া গ্রামে মসজিদের মাইকে প্রচার করে পূর্ব সৈয়দবাড়ী গ্রামে হামলার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, রশিদিয়া পাড়া গ্রামের বারেক নামে এক ব্যক্তির অটোরিকশার কাঁচ ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

পূর্ব সৈয়দবাড়ী গ্রামের মো. ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের এলাকায় এসে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে রশিদিয়া পাড়া গ্রামের বারেককে সতর্ক করে দেয়ায় গ্রামের লোকজনকে ক্ষেপিয়ে হামলা চালায় সে। মসজিদের মাইকে প্রচার করে শত শত লোক জড়ো করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামে হামলা চালানো হয়। আমার দোকানসহ গ্রামের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে, আমার বড় ভাইয়ের ডেইরি ফার্মে এসে চারটি গরু লুট করে খামারে আগুন ধরিয়ে দেয়।” অটোরিকশার কাঁচ ভাঙার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

পূর্ব রশিদিয়া পাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. বারেক তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বুধবার (২১ জুলাই) রাতে পূর্ব সৈয়দবাড়ী গ্রামের মো. ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি আমার অটোরিকশার সামনের কাঁচ ভেঙে ফেলে। পরে এটা নিয়ে সালিশ মীমাংসা হওয়ার কথা। এর মধ্যে তারা গণ্ডগোল পাকিয়ে এত বড় ঘটনা ঘটায়।”

রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আগুন নেভানো হয়েছে।”
অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে তদন্ত করে পরে বলা যাবে বলে জানান তিনি।

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুব মিল্কী বলেন, “এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ গেছে। ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। কোনো গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেনি। কেউ যদি থানায় অভিযোগ দেয় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.