উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সিভাসু শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

কর্মবিরতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়-সিভাসুতে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিছিল বের করেন। পরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করেন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্য ও সিনিয়র অধ্যাপকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান। অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি, যাতে তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ না দেন। আমরা এরইমধ্যে অবগত হয়েছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। শিক্ষার্থীরা কখনোই তা হতে দিবে না; মেনে নেবে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক যোগ্য শিক্ষক আছেন, যারা একাডেমিক ও গবেষণার দিক থেকে দেশ-বিদেশে খ্যাতিও অর্জন করেছেন। তাদের বাদ দিয়ে কেন বাহিরের একজন শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে? স্বৈরাচারের কোনো দোসরকে আমরা উপাচার্য হিসেবে মেনে নিবো না।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে একবার বাইরের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যার আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কোনো উন্নয়ন হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার এবং অত্র অঞ্চলের কৃষকদের সার্বিক বিষয় বুঝতে একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। দাবি না মানলে লাগাতার কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে প্রাণি চিকিৎসা থেকে শুরু করে প্রাণী চিকিৎসক, খাদ্যবিজ্ঞানী ইত্যাদি তৈরির পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে একবার বাহিরের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যার আমলে সামগ্রিক কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার এবং অত্র অঞ্চলের কৃষকদের সার্বিক বিষয় বুঝতে পারে এমন একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.