দল গোছান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাহায্য করবে আ.লীগকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা পার্টি গোছান। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আপনাদের সাহায্য করবো। আপনারা পার্টি গোছান উইথ নিউ ফেইস (নতুন মুখ নিয়ে), উইথ নিউ অঙ্গীকার এবং আশা করি উইথ থ্রু পলিটিক্যাল পার্টি অ্যাক্ট (রাজনৈতিক আইনের মধ্য দিয়ে)। দয়া করে আপনারা দেশকে অরাজকতার মধ্যে ঠেলবেন না।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওনাদেরও আশা দিচ্ছি, কথা দিচ্ছি- আপনারা দল গুছিয়ে নেন, আপনাদের দলকে তো কেউ নিষিদ্ধ করেনি। যদি ওই ধরনের জঙ্গি না হয় তবে একটা দলকে ব্যান করাটা আনলেস। কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা ভেরি ব্যাড কালচার।’রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় বলেও জানান তিনি।
তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনি একে দিয়ে তাকে দিয়ে গণ্ডগোল করাবেন, আমি আসতেছি আমি যাবো। আপনি আসবেন, এটা আপনার দেশ। আপনি আসেন না কেন? নাগরিকত্ব তো কারও যায়নি, ২১ বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব করেছেন। আপনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন, আপনাকে তো কেউ যেতে বলেনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, স্বেচ্ছায় গেছেন, আপনি ভালো থাকেন, আবার আসেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। অশ্রদ্ধা করছি না। কিন্তু গণ্ডগোল পাকানোর তো কোনো মানে হয় না। গণ্ডগোল পাকিয়ে তো কোনো লাভ হবে না। বরং জনগণ আরও ক্ষেপে উঠবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একসময় সেক্যুলারপন্থি দল ছিল মিডল ক্লাসের। মুসলিম লীগ যখন ছিল সেটা ছিল আপার ক্লাসের। কত বড় মানুষের দল। যিনি এ দেশ স্বাধীন করেছেন, এতে তো কোনো সন্দেহ নেই। কারও সন্দেহ থাকার কথা না। উনার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) নামে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে স্বাধীনতা হয়েছে। সেই দল এমনভাবে ভেঙে পড়ে যাবে। লোকজন লুকিয়ে বেড়াচ্ছে, আবার পেলে কী জানি হয়।
এ সময় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা বন্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা আপনাদের এলাকায় এগুলো (সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা) ঠিক করেন। আসনভিত্তিক যদি আমরা হিসাব নিতে থাকি… আপনারা ভালো করে জানেন আমি নতুন লোক না। গত পাঁচ বছর আপনারা আমার সঙ্গে ছিলেন। আই উইল মেক ইউর দ্যাট কন্সটিটেন্সি…একেবারেই কোনো ইলেকশন যাতে না হয়। আমি এখনো ইনফ্লুয়েন্স রাখি ইলেকশন কমিশনে।’
১৫ আগস্ট ছুটি থাকবে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটার বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না। এটা ক্যাবিনেটের কাজ। আমি কেবিনেটে ওটা আলোচনা করবো।
জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের কাজ। আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে গেজেট নোটিফিকেশনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। যার কাছে জিজ্ঞেস করার কথা তাকে বাদ দিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.