আগামী ১৯ তারিখ ঢাকার মহাসমাবেশ দেখে বুঝতে পারবেন, কারা ক্ষমতায় আসতেছে —–আ ন ম শামসুল ইসলাম

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরীর দায়িত্বশীল সম্মেলন

১১

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর একটি ঐতিহাসিক সুযোগ সৃস্টি  হয়েছে। আমরা পিআর পদ্ধতিতে ভোট চাই, মানুষ ধানের শীষ, নৌকা, নাঙ্গল সবই দেখেছে, এবার মানুষ দাড়ি পাল্লাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আগামী ১৯ তারিখ ঢাকার মহাসমাবেশ দেখে বুঝতে পারবেন, আল্লাহর আইন চাই সৎ লোকের শাসন চাই শ্লোগানধারীরাই ক্ষমতায় আসতেছে।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হলে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরীর দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ন ম শামসুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
আ ন ম শামসুল ইসলাম আরো বলেন, দীর্ঘ ষোলো বছর পর মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের গতিপথ নির্ধারণ হবে। তাই শ্রমিকজনতা ও সর্বস্তরের নাগরিকদের সচেতনতার সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। আর সেই শ্রমিকবান্ধব বাংলাদেশ পরিগঠনে আগামীর নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ম্যান্ডেট দিতে হবে। শ্রমিকবান্ধব দেশ গঠনে ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। শ্রমিকজনতা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভূইয়া, মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা পরিবেশবিদ নজরুল ইসলাম, উপদেষ্টা অধ্যাপক জাফর সাদেক ও ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসহাক।
সম্মেলনে বক্তাগণ বলেন, শ্রমিকজনতা দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। তাই শ্রমিকদের প্রতি রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনৈতিক দলসমূহের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে না বলেই শ্রমিকরা বঞ্চিত। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা এবং ন্যায়সংগত অধিকার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে। সেই বঞ্চনার অবসান ঘটাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।


সভাপতির বক্তব্য এস এম লুৎফর রহমান বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে শ্রম সেক্টরে অস্থিরতা ছিল,শ্রমিক লীগের তৎপরতা ছিল টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, বদলি বাণিজ্য। শিল্প কল-কারখানায় ছিল মাথাভারি প্রশাসন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সরকারি দলের নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকর্তারা অবস্থান করে লুটপাট করেছিল, চট্টগ্রাম বন্দর, তেল সেক্টর ও রেল সেক্টরকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত করেছিল। সিবিএগুলো দখল করে লুটপাট ও শ্রমিক নির্যাতন করেছিল।
তিনি বলেন, বিআরটিএ ও বিআরটিসিকে শ্রমিক হয়রানির আখড়ায় পরিনত করেছিল।
তিনি দোকান,হোটেল শ্রমিকসহ অত্র প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের কর্মঘন্টা নির্ধারন,সাপ্তাহিক ও জাতীয় ছুটি কার্যকর করার দাবী জানান।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি নজির হোসেন, মকবুল আহম্মেদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাবউল্লাহ ও অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুন্নবী, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক স ম শামীম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, আইন আদালত সম্পাদক সাব্বির আহমদ উসমানী প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.