বাংলাদেশের বন্ধু সায়মন ড্রিং আর নেই

৫৮১

 

ব্রিটিশ সাংবাদিক, বাংলাদেশের বন্ধু ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক সায়মন ড্রিং আর নেই। গত শুক্রবার তিনি মারা যান। অসুস্থ সায়মন ড্রিং-এর তলপেটে সার্জারি চলাকালে রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান

সায়মন ড্রিং এর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিক তুষার আব্দুল্লাহ।

একুশে টিভিতে সায়মন ড্রিং এর সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তুষার আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমকে তুষার আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে টিভি মিডিয়ার সম্প্রসারণে আইকনিক ক্যারেক্টর ছিলেন সায়মন ড্রিং।

কলম আর ক্যামেরা হাতে নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে নিরীহ বাংলাদেশিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সাংবাদিক সায়মন ড্রিং।

সায়মন ড্রিং বাংলাদেশে ২০০০ সালে এসেছিলেন এ দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি গড়ে তোলার প্রধান কারিগর হিসেবে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একুশে টিভি বন্ধ করে দেয়। ২০০২ সালের অক্টোবরে সরকার সায়মন ড্রিংয়ের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাঁকে অবিলম্বে বাংলাদেশ ত্যাগের আদেশ দিলে তিনি চলে যান।

সায়মন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। তিনি বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বৈদেশিক প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের অনেক জায়গা ভ্রমণ করে তরতাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। তিনি লন্ডনভিত্তিক দ্য ডেইলী টেলিগ্রাফ, বিবিসি টেলিভিশন এবং রেডিও সংবাদ ও চলতি ঘটনা তুলে ধরায় কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন নানা দেশের অজস্র সহমর্মী মানুষ। তাদের কেউ কেউ ভূমিকা রেখেছিলেন রাইফেল কাঁধে যুদ্ধের মাঠে, শরণার্থী শিবিরে, কেউবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ ও জনমত গঠন করে। কঠিন সেই সময়ে তাঁরা যে ভূমিকা রেখেছেন নিঃসন্দেহে তা অবিস্মরণীয়। তেমনি একজন ‘সাহসী যোদ্ধা’ ছিলেন সায়মন ড্রিং।

 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.