কখনো সচিব কখনো সাংবাদিক!
কখনো সচিব কখনো সাংবাদিক আবার কখনো সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে করতেন প্রতারণা। থাকতেন অভিজাত এলাকায়, ব্যবহার করতেন দামি গাড়িও। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীন মিল্কভিটা প্রজেক্ট, তথ্য মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক ও সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
এসব টাকা কখনো নগদে, কখনো ব্যাংক ড্রাফটে আবার কখনো পে-অর্ডারের মাধ্যমে নিতেন। এভাবে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী নামের এক প্রতারক। ঢাকায় র্যাবের অভিযানের পর পালিয়ে অবস্থান নেন চট্টগ্রাম। এবার নিস্তার হয়নি তার।
গত সোমবার বিকেলে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী ওরফে আলম (৪৭) নামের ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। বুধবার (১৭ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় র্যাব-৭। গ্রেফতার মোজাম্মেল ফেনীর পরশুরাম উপজেলার কলাপাড়া গ্রামের এছাক চৌধুরীর ছেলে।
র্যাব-৭ জানিয়েছে, গত ৯ মে প্রতারক মোজাম্মেলকে গ্রেফতারে তার ঢাকার ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালায় র্যা-১। ওই সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি গা-ঢাকা দেন। ওই অভিযানের সময় তার বাসা থেকে একটি পাজেরো ও একটি নোহা গাড়ি জব্দ করে র্যাব। পাজেরোটিতে মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ও ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড লাগানো ছিল এবং নোহা গাড়িতে এসএ টিভির প্রেস স্টিকার লাগানো ছিল।
এদিকে প্রতারক মোজাম্মেল চট্টগ্রামে আত্মগোপন করে আছেন- এমন খবরে র্যাব-১ এবং র্যাব-৭ যৌথ অভিযান চালায়। এরপর চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে ভুয়া সচিব ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার কথা অকপটে স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে ঢাকার শেরেবাংলা নগর এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় টাকা আত্মসাৎ এবং প্রতারণা সংক্রান্ত দুটি মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.