পবিত্র আশুরা আজ

৩১৩

পবিত্র আশুরা আজ। হিজরি সনের ১০ম দিন আশুরা উদযাপিত হয়। মুসলিম উম্মাহর অনুপ্রেরণার মাস ও দিন হচ্ছে মহররম ও আশুরা।ঐতিহাসিক কারবালার ঘটনার বহুকাল আগে থেকেই বিভিন্ন কারণে আশুরার দিন পালিত হয়ে আসছে। সব নবি-রাসুলই যুগে যুগে আশুরার রোজা পালন করেছেন। আবার রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে থেকেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার রোজা পালন করতেন। যে কারণে আশুরা মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ অনুপ্রেরণাও বটে।

মহররম মাসের সঙ্গে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা থাকায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মাসে নফল ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করতেন। রমজানে রোজা ফরজ হওয়ার পরও তিনি আশুরায় নফল রোজা রাখতেন। বিশেষ দোয়া করতেন। এমনকি তাঁর উম্মতকে আশুরায় রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিশেষ মর্যাদার কারণেই আল্লাহ তাআলা নিজে এ মাসের নামকরণ করেন ‘মহররম’। আরবরা এ মাসকে ‘সফরুল আউয়াল’ তথা প্রথম সফর নামকরণ করে নিজেদের ইচ্ছা মতো যুদ্ধ-বিগ্রহসহ বিভিন্ন কাজকে হালাল ও হারাম করে নিতো। অবশেষে আল্লাহ তাআলা আরবের লোকদের এ অবস্থাকে নিষিদ্ধ করে এ মাসের ইসলামি নামকরণ করেন ‘শাহরুল্লাহিল মুহাররাম’ তথা মহররম আল্লাহর মাস।

হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের আজকের আশুরার দিনটি মুসলিম বিশ্বের কাছে গভীর শোক ও বেদনার দিনও বটে। কেননা এ দিনে ইসলামি খেলাফত পুনরুদ্ধারে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন ইবনে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু তৎকালীন শাসক ইয়াজিদ ও তার বাহিনীর অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করায় কুচক্রান্তকারী ইয়াজিদ বাহিনী তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। ঘৃণ্য ইয়াজিদবাহিনীর হাতে তিনিসহ তাঁর সঙ্গী-সাথী ও পরিবারের প্রায় ৭০ জন নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন।

ইসলামের জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়াই করার অনুপ্রেরণার দেখিয়ে গেছেন হজরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু। পরিবার-পরিজন ও দলবলসহ তার শাহাদাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসলাম। যে কারণে আশুরা মুসলিম উম্মাহর অনুপ্রেরণার বিশেষ দিন।

 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.