দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে হবে: তরফদার রুহুল আমিন

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব-সাইফ পাওয়ারটেক বার্ষিক ক্রীড়া উদ্বোধন

১৮৮

চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক তরফদার মো.রুহুল আমিন বলেছেন, দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ পণ্য আমদানি-রপ্তানী হয় এই বন্দরের মাধ্যমে। তাই দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরকে অবশ্যই সচল রাখতে হবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামকে ঘিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতার বাড়ি, বে-টার্মিনাল ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। কোনো অশুভ শক্তি যাতে এই উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিহার্য।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব-সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড বার্ষিক ক্রীড়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন মো. রেজা। যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম এবং ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন আরো বলেন, জাতিগঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা সব চেয়ে বেশি। সাংবাদিকদের রয়েছে তৃতীয় চোখ যা সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা সর্বসাধারণের কাছে পরিবেশন করেন। আমরা যে কাজগুলো করে থাকি, সেগুলোর মূল্যায়ন কিন্তু জাতি জানতে পারেন সাংবাদিকদের মাধ্যমে। তাই দেশের ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিক সমাজ একে অন্যের পরিপূরক।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আবাহনীর ব্যানারে ২০১৫ সাল থেকে ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ফুটবল টুর্ণামেন্ট করেছি। ৩ বছর চলার পর করোনার কারণে বন্ধ থাকলেও ২০২৩ সাল থেকে চট্টগ্রামে আবার এই চুর্ণামেন্ট শুরু হবে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বার্ষিক ক্রীড়ায় ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতাসহ আগামী ডিসেম্বরে ফ্যামিলি নাইটে সাথে থাকার ঘোষণা দেন তরফদার মো. রুহুল আমিন।

সভাপতির বক্তব্যে প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গণের উন্নয়নেও তরফদার মো. রুহুল আমিনের অবদান অগ্রগণ্য। বাংলাদেশের ফুটবলকে প্রান্তিক থেকে বিভাগীয় হয়ে জাতীয় পর্যায়ে সমৃদ্ধ করতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৪৪ টি জেলায় ক্রিড়ার উন্নয়নে ৮ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য বৃহৎ স্বার্থে চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে ঘোষণা দেন প্রেসক্লাব সভাপতি। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নানা কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার জন্য তরফদার মো. রুহুল আমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এর আগে প্রধান অতিথিকে প্রেসক্লাবরে পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজু, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের পরিচালক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) নিজাম উদ্দিন মাহমুদ, ম্যানেজার (এইচআর) ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, ডেপুটি ম্যানেজার সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
শেষে দাবার ঘুটি চালের মাধ্যমে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব-সাইফ পাওয়ারটে কবার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তরফদার রুহুল আমিন এবং প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস।

মাসব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের প্রায় ৫ শতাধিক সদস্য অংশ নেবেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.