বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু

৪১৯

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ায় শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বহির্নোঙরে পাঠানো জাহাজগুলো সকালে ভিড়বে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (১৪ মে) রাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। ঘূর্ণিঝড়ে বন্দরের কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। আবহাওয়া অফিস ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলায় বন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। সোমবার সকালে বহির্নোঙরে পাঠানো জাহাজগুলো বন্দর জেটিতে ভিড়তে শুরু করবে। এরপর সেগুলোর খালাস কার্যক্রম শুরু হবে।

এর আগে, শুক্রবার (১২ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বন্দরের নির্দেশনায় জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহির্নোঙ্গরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে চারটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তার আগে ১২ মে বিকালে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-২’ জারি হয়েছিল। আবহাওয়া অফিসের দেয়া ৪ নম্বর সংকেতের প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণভাবে এই সংকেত জারি করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিকালে লাইটার জাহাজগুলোকে সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রবিবার (১৪ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিতওয়েতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পায়রা এবং মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.