চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রম ও শাহ আমানতে বন্ধ বিমান উঠানামা

৬৪০

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদফতর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করেছেন। ফলে বন্দরের ইয়ার্ড ও জেটির সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক শুক্রবার (১২ মে) রাতে এ তথ্য জানান।

বর্তমানে পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত মাদারভেসেলকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরে অবস্থানরত লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে।

বন্দরের জেটিতে অপারেশনাল ইকুইপমেন্ট ভালো করে বেঁধে নিরাপদে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন্দর কর্তৃপক্ষ চারটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।

শুক্রবার রাতে বন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বন্দরের অ্যাডভাইজারি কমিটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা থেকে সব ধরনের দেশী-বিদেশি জাহাজকে শনিবার ভোর ৪টার জোয়ারের সময় বহির্নোঙরে এবং বন্দরে অবস্থানরত সব লাইটার জাহাজকে কর্ণফুলী নদীর উজানে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে জন্য বন্দর জেটির অপারেশনাল ইকুইপমেন্টসমূহকে নিরাপদে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে শনিবার সকাল ৬টা থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানান, বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ কমান্ডার তাসলিম আহমেদ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.