জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্বন্দ্ব ভুলে কাজ করতে হবে- মেয়র
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্বন্দ্ব-বিভেদ ভুলে একযোগে কাজ করতে হবে এবং সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয়ের ওপর জোর দিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।
সোমবার (১৪ আগস্ট) টাইগারপাসস্থ চসিক ভবনে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক আন্তঃদপ্তর সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩টি সংস্থা ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এবার রেকর্ড বৃষ্টি হওয়ায় এবং এ প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়ায় প্রবল জলাবদ্ধতায় নগরবাসী কষ্ট পেয়েছেন। আমাদের সবাইকে দ্বন্দ্ব-বিভেদ ভুলে চট্টগ্রামের স্বার্থে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মু. আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব মো. মিনহাজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু রায়হান দোলন, পুলিশের এডিশনাল কমিশনার এম এ মাসুদ, সিডিএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, কর্ণফুলী সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক রাজীব দাশ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিবৃন্দসহ চসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নগরবাসীর জলাবদ্ধতা বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর মোবারক আলী, শৈবাল দাস সুমন, আবদুল মান্নান এবং মোঃ এসরারুল হক।
এর আগে গত শুক্রবার চট্টগ্রামে এক সভায় মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার বিপুল অর্থ বরাদ্ধ দেয়ার পরও এর সুফল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তথ্য ও সম্প্রাচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ওই দিন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত চট্টগ্রামের উন্নয়ন বিষয়ক এক সমন্বয় সভায় তিনি এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জলাব্দ্ধতা নিরসনের জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ ঢাকা শহরের জন্যও দেয়া হয়নি। সেটি প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জন্য দিয়েছেন। সেটির সুফল নগরবাসী পাওয়া শুরু করেনি। জলাব্দ্ধতা দূর না হওয়ায় নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। সভায় ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে বাদানুবাদ চলছে। জলাব্দ্ধতা নিরসন করা সবার দায়িত্ব। বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় দরকার বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.