চবি’র গবেষণা সুপারিশ অনুযায়ী মশা নিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু নগরীতে
নগরীতে মশা নিধন সিটি করপোরেশনের একটি প্রধান সেবামূলক কার্যক্রম। এতদিন যে পদ্ধতিতে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তাতে নানা ত্রুটি ছিল। ব্যবহৃত ওষুধও অকার্যকর ছিল। বুধবার (৪ আগস্ট) মশক নিধনে চসিক’র ক্র্যাশ প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ সময় মেয়র বলেন, চবি কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনের সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী নগরীতে মশক নিধনে মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হলো। এর আওতায় প্রতিদিন ৪টি করে ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম চলবে। এভাবে ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ দিন করে মোট ৩ দফায় মশক নিধন কর্মসূচি চলবে। পদ্ধতি ও গুণগত পরিবর্তনে এই কার্যক্রম সফল হবে।
তিনি বলেন, মশার প্রজননের উৎস হলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। নালা-নর্দমা বারবার পরিষ্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগাড় হচ্ছে। নালা-নদর্মায় আবর্জনা ফেলা হয়। এসবের জন্য দায়ী অসচেতন নগরবাসী। তাদের এই দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে নগরবাসীকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি নির্মাণাধীন ভবনের মালিকরা জমাট পানি না সরালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. এসরারুল হক, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, কাজী নুরুল আমিন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দিক, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.