জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমে চট্টগ্রামের সংবাদ গুরুত্ব পায়না: মেয়র রেজাউল
এটিএন বাংলার ২৫ বছরে পদার্পণ
২৫ বছরে পদার্পণ করলো দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) প্রেসক্লাব ভবনে এটিএন বাংলার চট্টগ্রাম অফিসে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের আয়োজন ছিল সংক্ষিপ্ত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রেজাউল করিম চৌধুরী।
এটিএন বাংলার চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহর হলেও ঢাকার মত গুরুত্ব দিয়ে এখানের সংবাদগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় না। ফলে উন্নতি বা দুর্ভোগের চিত্র সঠিকভাবে নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌছায়না। তিনি এটিএন বাংলাসহ জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমগুলোকে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান। বলেন, এখানকার সংবাদ স্থানীয় পত্রিকায় গুরুত্ব পেলেও জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমে তা খুজে পাওয়া যায় না। মেয়র বলেন, যেসব গণমাধ্যম মানুষের কথা তুলে ধরে জনগণ তাদেরকেই গ্রহণ করে।
তিনি এটিএন বাংলা যাতে তাদের সংবাদে চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখের চিত্র তুলে ধরে, সে আহ্বান জানান।
এসময় সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রামের খেলাধুলার সংবাদ জাতীয় পর্যায়ের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে তেমন গুরুত্ব পায়না বলে অভিযোগ তোলেন। তিনি স্থানীয় উন্নয়ন ও অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে চট্টগ্রামের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার আহবান জানান এটিএন বাংলার প্রতি।
এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার আবুল হাসনাতের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে এটিএন বাংলাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো.রেজা, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম। এ সময় এটিএন বাংলা চট্টগ্রাম অফিসের ডেপুটি ইনচার্জ মনজুর কাদের মনজু, বিশিস্ট শ্রমিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফর আলী, ব্যবসায়ী জিএম হাছান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে অতিথিবৃন্দ ২৪ বছর পূর্তির কেক কাটেন।
এর আগে এটিএন বাংলা, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ সদরুদ্দিন ফারুকী।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.