কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ ১০ ঘন্টার মধ্যে
কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী
কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
শুক্রবার (৯জুলাই) চসিকের এক জরুরি সভায় কোরবানি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
মেয়র বলেন, ঈদুল আযহার দিন পশু কোরবানির পর সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টার মধ্যে নগরীর সকল অলিগলি থেকে পশুর বর্জ্য ও আবর্জনা সংগ্রহ করে ডাম্পিং করা হবে। এ লক্ষ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটি, পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ, যান্ত্রিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা ও পরামর্শ করে করণীয় ঠিক করা হয়েছে।
মেয়র আরও জানান, বর্জ্য অপসারণ ও ডাম্পিং যান্ত্রিক শাখার সব সরঞ্জামসহ ২০০ পরিবহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ভাড়ায় আরও পরিবহন সংযুক্ত করা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণের ক্ষেত্রে চসিকের সুনাম রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ঈদের দিন ও পরের দিন চসিকের পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের জনবল মাঠে থাকবে। ঈদের দিন রাত ১০টার পর কোথাও কোরবানির পশুর বর্জ্য পড়ে থাকলে তা চসিক কন্ট্রোল রুমে জানানো হলে তাৎক্ষণিক অপসারণ করা হবে। নগরীর দু’টি আবর্জনাগার ( ট্রন্সিং গ্রাউন্ড) বর্জ্য ডাম্পিংয়ের জন্য সমান করা হয়েছে এবং আবর্জনাবাহী গাড়ি যাতায়াতের পথগুলো চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ ও উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.