খালের ইঞ্চি পরিমাণও বেদখল থাকবে না : মেয়র রেজাউল

'এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টাইগারপাস ওভারব্রীজের ওপার থেকে হোক'

২৭১

নগরীর পানি চলাচলের প্রধান পথ খালগুলোর ইঞ্চি পরিমাণ অংশের ওপর থেকেও অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যত বড়ই প্রভাবশালী হোক-না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (৮জুলাই) সকালে নগরীর দক্ষিণ বাকলিয়া ইসহাকের পুল সংলগ্ন এলাকায় চসিকের খাল পরিষ্কার ও আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে হুঁশিয়ারী দেন তিনি।

মেয়র বলেন,নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহমান অনেক খাল ভূমি দস্যুদের আগ্রাসনে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেগুলো এখনো প্রবাহমান রয়েছে সেগুলোর দু’পাশের ৮-১০ ফুটের বেশি অংশ বেদখল হয়েছে, অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠেছে। সি.এস এবং আর.এস জরিপের নকসা অনুযায়ী খালের সীমা যেভাবে নির্ধারিত রয়েছে, সেই অবস্থান অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে।

এসময় মেয়র রেজাউল করিম এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, মির্জাখাল-বির্জাখাল-মাঝের খাল দিয়ে বাকলিয়া এলাকার পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অসচেতনতায় প্রতিনিয়ত এ তিনটি খাল পলিথিন ও আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী এ খালগুলোর নাব্যতা হরণের জন্য দায়ী। বারবার খাল পরিষ্কার করার পরও কিছু দিন না যেতেই খালগুলো আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এর দায় চসিক একা নিতে পারেনা।

তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সিডিএ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর সফল বাস্তবায়ন নগরবাসীর জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে। যেকোন বড় প্রাপ্তির জন্য সাময়িক ভোগান্তি হয়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে এবং এটা মেনে নিতে হবে। সিডিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে কাজের সুবিধার জন্য খালের যে সকল অংশে বাঁধ বা ব্লক স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো আপাতত সরিয়ে পানি চলাচলের পথ বাধামুক্ত করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় মেয়র বাস্তবায়নাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা বাস্তবায়ন হলে যানজট নিরসন হবে এবং আধঘন্টায় নগরের কেন্দ্রস্থল থেকে বিমান বন্দরে যাওয়া যাবে। তবে আমি আশা করবো নগরীর এ প্রান্তটা টাইগারপাস ওভারব্রীজের ওপার থেকে শুরু হবে। ফলে টাইগারপাস এবং ওভারব্রীজের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুরক্ষিত হবে এবং এর ওপর কোন আঁচড় পড়বে না।

চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের স্বার্থে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার আপাতত অন্যত্র সরানোর যে প্রস্তাব চসিককে দেওয়া হয়েছে সেব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের সংস্কৃতিসেবী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সুধীজনদের সাথে বসে শহিদ মিনার সরানো বা না-সরানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ শহীদ মিনার আমাদের আবেগ-অনুভূতির পবিত্র জায়গা।

এ সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.শহিদুল আলম, মো.নুরুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.