কোকেনসহ গ্রেপ্তার বিদেশী নারীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রায় চার কেজি কোকেনসহ আটকের ঘটনায় বিদেশী নারী গ্রেপ্তার বাহামার নাগরিক স্টাসিয়া শান্তে রোলি তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক লোকাশীষ চাকমা বলেন, নগরের পতেঙ্গা থানায় দায়ের করা কোকেনের মামলায় বাহামার নাগরিক স্টাসিয়া শান্তে রোলির ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ কেজি কোকেন চোরাচালানে চট্টগ্রামকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে পাঠানো হচ্ছিল ভিন্ন দেশে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ১২ জুলাই থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ চট্টগ্রামের সদস্যরা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কোকেন বাহক স্টাসিয়া শান্তে রোলি জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। গত ১৩ জুলাই সকাল আটটায় কোকেন বাহককারী রোলি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। কোনো ব্যাগেজ ছাড়া তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করে চট্টগ্রামের একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। গত ১৫ জুলাই রোলি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর ব্যাগেজ ক্লেইম করার পরে রেইডিং টিমের সদস্যরা কাস্টামস হাউজের সহযোগিতায় ব্যাগটি প্রথমে স্ক্যান করে। পরে তার ব্যাগটি তল্লাশি করে একটি কার্টুনের ভিতর থেকে ৭টি আয়তকার পলি প্যাকেটের মধ্যে সাদা বর্ণের কোকেন সাদৃশ্য পদার্থ আটক করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ৭টি প্যাকেটে মোট ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সার্কেলের পরিদর্শক জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে নগরের বন্দর থানায় মামলা করেন। নাইজেরিয়ার একটি চক্র এই কোকেন পাচারের সাথে জড়িত। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে নাইজেরিয়ার দুই নাগরিককে আটক করা হয়েছে। কোকেনের উৎস দেশ ছিল ব্রাজিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ঢাকার বদলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.