মনা হত্যায় তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর, ১ জনের জবানবন্দি

১০

নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সাহেদ হোসেন ওরফে মনা খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই ঘটনায় সাগর (২৮) নামে আরেক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার মহানগর-১ এর জুডিশিয়য়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত এ আদেশ দেন। এরআগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার চৈঠপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার চারজন হলেন—প্রধান আসামি জুয়েল (৩৪), সহযোগী বশির (২৬),  মো. সাগর (২৮) ও জুয়েল ওরফে ছোট জুয়েল (২৫)।

শনিবার (১৩ জুলাই) রিমান্ড েও জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম ওবায়েদুল হক।

তিনি জানান,  মনা হত্যা মামলায় তিন আসামি মো. জুয়েল, মো. বশির ও মো. জুয়েল প্রকাশ ছোট জুয়েলের ৫ দিন করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়।  আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এ ছাড়া সাগর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে আসামি মো. সাগরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রিয়াজউদ্দিন বাজার ও নিউমার্কেট এলাকায় হকারদের থেকে চাঁদা, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন খুনের শিকার সাহেদ। ৫০টিরও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা সে ঘটিয়েছে বলেও আমাদের কাছে তথ্য আছে। কিশোর গ্যাংও নিয়ন্ত্রণ করতো সে। কোতায়ালি থানা পুলিশের করা সন্ত্রাসীদের তালিকায়ও তার নাম আছে।’

২০২৩ সালের ৯ জুলাই দিনের বেলা প্রকাশ্যে নগরীর কোতোয়ালি থানার রিয়াজ উদ্দিন বাজার এলাকার রয়েল টাওয়ারের সামনে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এক নম্বর আসামি সাহেদ। সাহেদের গ্রুপে জুয়েলও কাজ করতেন। পরে সাহেদের সঙ্গে জুয়েলের বিরোধ হলে দুইটি গ্রুপ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জেরেই জুয়েল তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সাহেদের ওপর হামলা করে। জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে রক্ষা করতেই সাহেদকে ছুরিকাঘাত করে বলে সে আমাদের জানিয়েছে। তারা সেখানে সাহেদকে শায়েস্তা করতে গিয়েছিল। সাহেদকে খুনের পর তারা প্রথমে ঢাকা চলে যায়। সেখান থেকে এক দালালের মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে ভারতে চলে যাবার চেষ্টা করছিল। খুনের ঘটনায় প্রথমে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাকিদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।’

গত ৭ জুলাই রাতে কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোড পাখি গলিতে ছুরিকাঘাতে খুন হন সাহেদ হোসেন মনা। খুনের ঘটনায় আটজনের নাম জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নামে থানায় মামলা করেছিলেন সাহেদের বাবা শাহ আলম।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.