চাক্তাই খালে আবর্জনা ফেললে জেল-জরিমানা: জেলা প্রশাসক
নগরের চকবাজারের কাচাঁবাজার এলাকার চাক্তাই খালের ধুনির পুল অংশে জলাবদ্ধতার চিত্র পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে তিনি কাচাঁবাজার এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় চাক্তাই খালের ধুনির পুল অংশের পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খালের পাড়ে ও খালে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য মাইকিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেন তিনি। এরপরও খালে ময়লা ফেলার অপরাধে চারজনকে ১ হাজার টাকা করে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.এফ এম শামীম।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খান, সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল আলম, জেলা প্রশাসনের বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.এফ এম শামীম, এনডিসি হুছাইন মুহাম্মদ ও স্টাফ অফিসার টু ডিসি মো. আল আমিন হোসেন জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন।
চকবাজারের কাচাঁবাজার এলাকার চাক্তাই খালের ধুনির পুল অংশে জলাবদ্ধতার চিত্র পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশে সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ মোতাবেক যে কোন ধরনের পানির প্রবাহ রোধ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিষ্কার করার কাজে যারা জড়িত সিডিএ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যারা এসব কাজে সম্পৃক্ত তাদের সাথে কথা বলব। তারা যদি পরিষ্কার করেন আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করতে বলব। যদি না করেন তাহলে এলাকার কাউন্সিলর ও লোকজনদেরকে সাথে নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসন থেকে এ খাল পরিষ্কার করার কাজ শুরু করব।
তিনি বলেন, মেয়রকে অনুরোধ করবো, তার সাথে কথা বলবো, ইনশাআল্লাহ কালকে থেকে দেখতে পাবেন এখানে কাজ শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীসহ দয়া করে এ খালে কেউ কোন ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না, নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবেন। এটা আপনাদের সকলের মঙ্গলের জন্য। ময়লা আবর্জনায় এখানে পানি জমে থাকার ডেঙ্গু মশা হবে। খালে কেউ কোন ময়লা-আবর্জনা ফেললে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা হবে, না মানলে পরবর্তীতে জেল দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আইন মেনে চলার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.