‘কর্ণফুলী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন, প্রশাসন তা মানছে না।’

২০

‘কর্ণফুলী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন, কিন্তু প্রশাসন তা মানছে না।’ শুক্রবার নাব্যতা রক্ষার দাবিতে অভয়মিত্র ঘাট সংলগ্ন কর্ণফুলী তীরে প্রতিবাদ মঞ্চ ও ধর্মঘট কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বক্তারা।

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র, আরএসকে ফাউন্ডেশন, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। তিনদিন ধরে তাদের এই আয়োজন চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা।

প্রতিবাদ মঞ্চের আহ্বায়বক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর মোজাম্মেল হক।

বক্তব্য রাখেন প্রতিবাদ মঞ্চের সদস্য সচিব চ্যানেল আই চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান চৌধুরী ফরিদ, পরিবেশ সংগঠক ও রাজনীতিবিদ হাসান মারুফ রুবি, সংগঠক রাজনীতিবিদ মিতুল দাশগুপ্ত, পরিবেশ সংগঠক হাসিনা আক্তার টুনু, আরকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জাহেদুল করিম বাপ্পী, সমন্বয়ক সাংবাদিক মুজিব উল্ল্যোহ তুষার, তারেকশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সি ন ভৌমিক, শিক্ষিকা রোজি চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি জাফর আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সংগঠক মোরশেদ আলম, মো.রাশেদ, কৃষিবিদ কাজী গোলাম মোস্তফা, এম শাহাদাত নবী, চরপাথরঘাটা সাম্পান সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আবুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় করেন প্রধান সমন্বয়ক আলীউর রহমান ও এস এম পেয়ার আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর মোজাম্মেল হক বলেন, কর্ণফুলী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এই নদী দখল দূষণ করে পৃথিবী ব্যাপী বাংলাদেশের ইমেজ ধ্বংস করা হচ্ছে। যা মেনে নেয়া যায়না। কর্ণফুলীর পানি দূষণের কারণে চট্টগ্রাম মহানগরী এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। এই কথা গুলো ক্ষমতার উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য জনগণ যাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে তারা নীরব।

তিনি বলেন, একটা মানুষের ধমনি বন্ধ হয়ে গেলে যেমন হার্ট অ্যাটাক হয় তেমনি কর্ণফুলীর দখল করে নাব্যতা বন্ধ করে এই নদীকে হত্যা করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি একবার পৌঁছাতে পারলেই এই নদী রক্ষা হবে।

সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ বলেন, সাধারণ মানুষের আন্দোলনের পরেও কর্ণফুলী দখর বন্ধ নাই। মাছ মাজারের দক্ষিন কর্ণফুলীর মাঝখানে পল্টুন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলীকে রক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন তা মানছে না। আমরা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।

 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.