কাজীর দেউড়ির শিশু পার্ক সিলগালা

১৮

নগরীর কাজীর দেউড়ি সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশু পার্কটি সিলগালা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং ও রাকিবুল ইসলাম। পরে স্থাপনাটি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রেকর্ডরুম শাখা, জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা ও অবমূল্যায়ন শাখা) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম।

তিনি বলেন, পার্কটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। মন্ত্রণালয় থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) শুধুমাত্র ব্যবস্থাপনা শর্তে এটি লিজ দেওয়া হয়েছিল। চসিক একটি বেসরকারি সংস্থাকে পার্কটি সাব-লিজ দেয়। কিন্তু সংস্থাটি লিজের শর্ত ভঙ্গের কারণে মন্ত্রণালয় চসিকের লিজ বাতিল করে দেয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসক স্যারকে এটির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন চিঠি দিয়েছেন। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশ জায়গাটি সিলগালা করে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল সার্কিট হাউসে। এ সার্কিট হাউসে মুক্তিযোদ্ধাদের ইলেকট্রিক চেয়ারে নির্যাতন করা হয়েছিল। এখানেই শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। বিজয় মঞ্চে স্মৃতিচারণ করতেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছিল সার্কিট হাউস সংলগ্ন বাণিজ্যিক শিশু পার্কটি বন্ধ করে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ এবং সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত সবুজ চত্বর তৈরির। এ দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছিল বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

সর্বশেষ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বেলা তিনটায় মানববন্ধন করে পার্কটি ভেঙে সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন।

এসময় তারা বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির তথা স্বাধীনতা অর্জনে চট্টগ্রামের অনন্য অবদান থাকলেও এখানে স্বাধীনতার স্মৃতিচিহ্ন কিংবা স্বাধীনতার ইতিহাস, কৃষ্টি চর্চা কিংবা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার জন্য উল্লেখযোগ্য কোন স্মৃতিচিহ্ন বা স্মৃতি স্তম্ভ নেই। এছাড়া আপামর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মাঠের স্বল্পতা রয়েছে। শিশু পার্কের জায়গাটি উচ্ছেদ করে জায়গাটিতে উন্মুুক্ত স্থানসহ মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হোক এবং মাঠ তৈরি করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবি জানায়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.