জামালখানে ভবন ধ্বসের ঘটনায় আহত রণও মারা গেছেন

৩৫৭

চট্টগ্রামের জামালখানে পুরাতন ভবন ধ্বসের ঘটনায় আহত ব্যক্তিও মারা গেছেন। আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হানান রন চক্রবর্তী (৫৭)। তিনি সাতকানিয়ার কালিয়াইশের মৌলভীর দোকান এলাকার দুলাল চক্রবর্তীর ছেলে। তিনি ভবন মালিকের পক্ষে ভবন ভাঙ্গার কাজ তদারক করছিলেন বলে জানা গেছে।

এ নিয়ে এই ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু ঘটলো।

কোতোয়ালী থানা পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে নিহত জসিম উদ্দিন (৪১) ভোলার লালমোহন, মাতব্বর বাড়ির আব্দুল খালেকর পুত্র। বর্তমানে তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তা এলাকায় থাকেন। তিনি ভবন ভাঙ্গার সাব কনট্রাক্টরের সুপারভাইজার বলে জানা গেছে। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির এসব তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় জামালখানের সিকদার হোটেলের উত্তরপাশে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১০ দিন ধরে ওই এলাকার আর আর প্যাকেজিং এর মালিক রতন ভট্টাচার্যের ওই ভবন ভাঙার কাজ চলছিল। বিকেল ৪টা নাগাদ ভবন ভাঙার কাজ করার সময় হঠাৎ দেওয়াল ও ছাদের বড় একটি পাশের ফুটপাতে ধসে পড়ে এতে দেওয়ালে চাপা পড়ে একজন নিহত জসিম উদ্দিন। প্রথমে তার পরিচয় অজ্ঞাত ছিল। পরে জানাযায় তিনি ভবন ভাঙ্গার কনট্রাক্টরের সুপারভাইজার।
প্রাথমিকভাবে ভবন মালিক ও ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিতদের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিস্টরা।

জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ভবনের দেওয়াল ধ্বংসের ঘটনায় একজনের তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয়েছে। এসব দায়-দায়িত্ব সিডিএ’র। ভেতরে ত্রিপল লাগানো থাকতো। ভবন যে ভাঙা হচ্ছে সেটাও জানতাম না। ভেতরে অনেক কিছু হতে পারে। আমার কোন দায় নেই।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.