চট্টগ্রামে প্রথমবার দেখা মিললো টিউলিপ ফুলের

১০-১৮ ফেব্রুয়ারী ডিসি পার্কে উদযাপিত হবে ফ্লাওয়ার ফেস্ট

২০৯

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে উদ্ধার হওয়া ১৯৪ একর খাস জমিতে গড়ে ওঠছে ডিসি পার্ক। ওই পার্কে প্রথমবারের মতো দেখা মিলেছে পাঁচপাতা রঙের টিউলিপ ফুলগাছের। এসব গাছে ইতিমধ্যেই টিউলিপ ফুল ফুটেছে। মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে পোস্টের পর তা দেখতে সকাল-বিকাল পার্কটিতে ছুটে আসছে প্রকৃতি প্রেমীরা।

তবে কেবল টিউলিপ গাছই নয়, ডিসি পার্কে লাগানো হয়েছে নানারকম বাহারী ফুল, গুল্ম লতাও। এসবে পার্কটি সেজেছে ভিন্ন রূপে। উদ্ধার হওয়া সরকারি জায়গায় সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এটিই একমাত্র পার্ক।

জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০ নম্বর সলিমপুর ইউনিয়নের আউটার রিং রোড় সংলগ্ন ১৯৪ একর সরকারি খাস জমি দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে রেখেছিল স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। ওই চক্র সেখানে শুকতারা নামক রেস্টুরেন্ট, বিনোদন পার্ক গড়ে তোলে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছিল। এতে একদিকে সরকারি জমি বেদখল অবস্থায় ছিল। অন্যদিকে অনুমোদন বিহীন পার্ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল চক্রটি। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সীতাকুণ্ডের এসিল্যান্ড মোঃ আশরাফুল আলম ওই জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১৯৪ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে। পরে ওই জায়গায় ডিসি পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। যা সরাসরি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে পরিচালিত হবে। আর তারই লক্ষ্যে পার্কটিতে লাগানো হয়েছে পাঁচ পাতা রঙ্গের টিউলিপ ফুলগাছ। এছাড়াও রয়েছে বাহারী ফুল, বৃক্ষ ও লতা-গুল্মের সমাহার। পার্কটিতে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিন্দন সড়ক।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ‘পার্কটিতে চট্টগ্রামের মাটিতে প্রথম বারের মত ফুটেছে টিউলিপ ফুল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সত্যিই এটি একটি প্রশংসনীয় ও অসাধারণ উদ্যোগ। চট্টগ্রামবাসীর জন্য এক অনন্য উপহার।’

এদিকে পার্কটিকে সবার কাছে পরিরিচিত করার লক্ষ্যে আগামী ১০-১৮ ফেব্রুয়ারী ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়ক মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ডিসি পার্কে চট্টগ্রামের ইতিহাসে প্রথম বারের মত উদযাপিত হবে চট্টগ্রাম ফ্লাওয়ার ফেস্ট ২০২৩। শতাধিক বাহারী ফুল, বৃক্ষ, লতা-গুল্মের অপার সৌন্দর্যের ভিড়ে মূল আকর্ষণ থাকবে টিউলিপ ফুল। এ ছাড়াও এখানে থাকবে কায়াকিং, ঘুড়ি উৎসব, বড়শি দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা ও শিশুদের জন্য কিডস জোন। ব্যস্ততম নাগরিক জীবন থেকে একটুখানি প্রশান্তি পাবে চট্টগ্রামের নাগরিকরা।

ফেস্টিভেলে নৌকা বাইচের ব্যবস্থা থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য পার্কের চারদিকের রাস্তা উন্মোক্ত করে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তা মেরামত ও পুরো এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে রয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য করা ওই রাস্তাটি দৈর্ঘ্যে সাড়ে ৬’শ থেকে ৭’শ ফিট দৈর্ঘ্য ও চওড়ায় ২৫ ফিট।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.