যুদ্ধাপরাধী ও খুনিরা যেন ক্ষমতায় এসে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

৪২৬

ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে দলীয় জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রোষানল থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে সর্বসাধারণের উদ্দেশে বলেন, আমরা আপনাদের দোয়া, সহযোগিতা ও ভোট চাই। কারণ, যুদ্ধাপরাধী ও খুনিরা যেন আবার ক্ষমতায় এসে দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে আমরা দেবো না। ওই বিএনপি-জামায়াত খুনির দল, যুদ্ধাপরাধীর দল, জাতির পিতার হত্যাকারীদের মদতদানকারীর দল। এমনকি আমাকেও তো বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। কাজেই, এরা যেন বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে খেতে না পারে। আর যেন এরা ক্ষমতায় আসতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাওয়ার আগে আমি আপনাদের কাছে একটি প্রতিশ্রুতি চাই, অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দেবেন এবং আমাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। হাত তুলে বলুন, নৌকায় ভোট দেবেন। তখন জনগণ দু’হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সম্মতি জানায়।

বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের মাটিতে যেন আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বাবা, মা, ভাই সব হারিয়ে ফিরে এসেছি বাংলার মানুষের কাছে এজন্য যে এদেশের মানুষ দু’বেলা পেট ভরে ভাত খাবে, তাদের বাসস্থান হবে, চিকিৎসা হবে, শিক্ষা হবে, উন্নত জীবন পাবে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী দেশ, সেই বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে, আমরা যেন সেভাবে দেশকে গড়তে পারি।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করার পাশাপাশি ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া চেয়ে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও একবার আপনাদের সহযোগিতা চাই, এই বাংলার মাটিতে আবার যেন ওই যুদ্ধাপরাধী, খুনির দল ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর, আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণ জেলা ইউনিট আয়োজিত মহাসমাবেশে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং সেগুলোকে তার সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেন।

প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে শেখ হাসিনা বলেন, এসব উন্নয়ন প্রকল্প আমার কাছ থেকে পাওয়া উপহার। আওয়ামী লীগই একমাত্র সরকার যারা বন্দরনগরীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।

এরআগে বেলা ১২টা থেকেই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের স্থানীয় এমপি, কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় জনসভার আনুষ্ঠানিকতা। বক্তব্যে নেতারা চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেয়া নানা প্রকল্পের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। আগামীতেও প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.