শাহ আমানতে চালু হলো ইলেকট্রনিক গেট
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হয়েছে ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট)। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেটের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান দেশে স্বল্প সময়ের মধ্যে ই-ভিসা চালু হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এমআরপি করেছিলাম। এরপর ই-পাসপোর্ট করি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা ই-পাসপোর্ট প্রকল্প নিয়েছিলাম। জার্মানের ভেরিডোজ কোম্পানি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তখন অনেকে বলেছিলেন- লক্ষ লক্ষ লোক যারা বিদেশে আছেন, তাদের হয়তো পাসাপোর্ট আমরা দিতে পারবো না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই পাসপোর্ট সবার হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন প্রতিদিন ২০ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট করছি। ইতোমধ্যে ঢাকায় ২৬টি ই-গেট চালু করেছি। আজ চট্টগ্রামে ৬টি ই-গেট উদ্বোধন করছি। ই-গেট সেবা দেশি ও বিদেশিরা সহজে এ সেবা নিতে পারবেন। যাদের ই-পাসপোর্ট আছে তারা সহজে পার হয়ে যাবেন। চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি প্রধানমন্ত্রীর উপহার।
দেশের সকল স্থলবন্দরেও ক্রমান্বয়ে ই-গেট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন আমরা ই-ভিসাও চালু করতে যাচ্ছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ই-ভিসা চালু করব। এই সেক্টরকে আমরা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার বলেন, ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটাল হবে। শুধু ভিসা যাচাই প্রক্রিয়া কিছুটা ম্যানুয়াল থাকছে। ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ই-গেট স্থাপনের কাজ চলছে। ঢাকায় এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার যাত্রী এ সেবা নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-গেটে ইমিগ্রেশন পুলিশ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ই-পাসপোর্টধারীদের তথ্য যাচাই করে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারে। এসব গেটে ই-পাসপোর্ট যাচাই, পাসপোর্টে থাকা বায়োমেট্রিক ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই এবং সামগ্রিক ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে করা সম্ভব।
একজন ই-পাসপোর্টধারী কারো সহযোগিতা ছাড়া মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ডকুমেন্ট যাচাই করে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারবেন। একজন যাত্রী ই-পাসপোর্টের প্রথম পাতা স্ক্যানিং মেশিনের উপর স্থাপন করলে এবং স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে শনাক্তকরণ হলে প্রথম গেইটটি খুলবে। স্ক্যানিং মেশিনের শনাক্তকরণ ক্যামরার মাধ্যমে ছবি ধারণ এবং এরপর পরিচয় নিশ্চিত হলে বহির্গমন গেইটটি খুলে যাবে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক আবু সাইদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.