কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অনশন
কর্ণফুলী নদী তীরের দুই সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে অনশন ধর্মঘট পালন করেছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন নামে একটি সংগঠন। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চাক্তাই খালের মোহনায় এই অনশন ধর্মঘট পালন করা হয়। এতে স্থানীয় সাম্পান মাঝিরা নৌকা বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের সাড়ে তিন বছর পরেও কর্ণফুলী দখল করে গড়ে ওঠা দুই হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি। এসব স্থাপনা দিন দিন কর্ণফুলীকে আরও বেশি দূষিত ও সংকুচিত করছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে ধর্মঘট পালিত হয়।’
কর্মসূচি পালনকালে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য দিলরুবা খানম, পরিবেশ সংগঠক নেছার আহমেদ খান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর আহমদ, সহ-সভাপতি লোকমান দয়াল, সদস্য মিজানুর রহমান, সংগঠক আরমান হায়দার, সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকালে কর্ণফুলী নদীর পাড় দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ মাছ বাজার ও বরফ কল পরিদর্শন করেন জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এটা কর্ণফুলী নদী। কিন্তু এখানে এখন মাছ বাজার এবং হাজারও অবৈধ স্থাপনা। বাংলাদেশের অন্য নদীর সঙ্গে কর্ণফুলীর তুলনা হবে না। অন্য নদী আর কর্ণফুলী এক নয়। কর্ণফুলী দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী। কর্ণফুলী নদী দখল হয়ে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। সুতরাং অন্য নদীর সঙ্গে এর তুলনা করা ঠিক হবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কর্ণফুলী ইউনিক নদী যেটি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই নদীর বায়োডাইভারসিটি যেকোনও মূল্যে রক্ষা করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.