‘ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় স্থান চট্টগ্রাম’

৩২৫

ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামকে একটি সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ভিয়েতনামের ৩২ সদস্যবিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বিজনেস নেটওয়ার্কিং মিটিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সামনের দিনগুলোয় এটা বাড়বে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয় দেশের মধ্যে ২০২১ সালে দুই বিলিয়ন ডলারের যে বাণিজ্য আশা করেছিলেন কোভিড অতিমারির কারণে তা পূরণ না হলেও সামনের দিনগুলোতে তা অর্জিত হবে।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডু কিয়ক হাং, বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিভিসিসিআই) সভাপতি এস এম রহমান, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব, মাহফুজুল হক শাহ এবং কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. আবু নূর রাশেদ আহমেদ। এ সময় চিটাগাং চেম্বার ও ভিয়েতনামের ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যালায়েন্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা চাইলে বিনিয়োগের মাধ্যমেই এই ঘাটতি দূর করতে পারেন। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের তিনি বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এছাড়া চিটাগাং চেম্বার আয়োজিত চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২৩ এ অংশ নিতে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের সরাসরি কোনো বিমান যোগাযোগ নেই। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা-হ্যানয় সরাসরি বিমান যোগাযোগ শুরু হবে। যার ফলে গতি আসবে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পর্কে।

ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডু কিয়ক হাং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এখনও তথ্যঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থার উন্নয়নে তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে পারেন। আগামী বছর বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এই সম্পর্ক সামনে রেখে আগামী বছর বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলকে ভিয়েতনামে আমন্ত্রণ জানান তিনি।

বিভিসিসিআই সভাপতি এস এম রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিফুড, লেদার ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে ভিয়েতনামে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মো. ইফতেখার ফয়সাল, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারি কনসাল সোলায়মান আলম শেঠ, চেম্বারের সাবেক পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী ও ক্লিফটন গ্রুপের পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম সারওয়ার, অ্যাটাচে ও রাষ্ট্রদূতের পিএস নগুয়েন ভিয়েত আনহ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএ, উইম্যান চেম্বার, এগ্রো সেক্টর, ফার্নিচার ম্যানুফ্যাকচারার, ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আমদানিকারকসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপস্থিত ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মাঝে বিটুবি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.