দুর্গাপূজা পালনে ৩২ টি নির্দেশনা দিল সিএমপি

১৬১

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্ডপের ভিতরে একসঙ্গে ২০ জনের অধিক লোক অবস্থান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপিলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। এছাড়া প্রতিমা তৈরির সময় নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখাসহ ৩২ টি নির্দেশনা তুলে ধরেন তিনি।

বুধবার (৭ সেপ্টম্বর) দুপুর ১২টায় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের মতবিনিময় সভায় সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার এ নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন।

নির্দেশনায় বলা হয়— মন্দির বা পূজামন্ডপে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে অনুষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। অহেতুক কোন প্রকার থিম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা ডিজে পার্টি আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছে সিএমপি।

অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে আছে, মন্ডপের প্রবেশমুখে ভীড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া,পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রাখতে হবে পৃথক প্রবেশ ও বের হবার ব্যবস্থা, মণ্ডপের প্রবেশমুখে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করার নির্দেশনা দিয়েছে সিএমপি।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মণ্ডপের চারদিকে বা উপরের অংশ রাখতে হবে উন্মুক্ত , থাকতে হবে প্যান্ডেলের আশপাশে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জরুরি সেবার ফোন ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরি সেবার নম্বরগুলো দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জেনারেটর প্রস্তুত রাখতে হবে। বিদ্যুতের ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ দ্রুত মেরামত করতে হবে। সার্বক্ষণিক একজন ইলেকট্রিশিয়ান নিয়োগ করতে হবে। নিরাপদ স্থানে পূজামণ্ডপ স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপসমূহে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখা। যেমন- ফায়ার এক্সটিংগুইসার, পানি, বালি ইত্যাদি।

এছাড়া নামাজ ও আজানের সময় সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখতে হবে, প্রতিমা পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে সমন্বয় করতে হবে, অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টি থেকে দর্শনার্থীদের সর্তক থাকতেও বলা হয়েছে।

পূজামন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। পূজামন্ডপে আগত নারী দর্শনার্থীরা যাতে ইভটিজিং বা কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে নিতে হবে জরুরি পদক্ষেপ, মোতায়েন করতে হবে নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক, স্বেচ্ছাসেবকদের চেনার সুবিধার্থে গেঞ্জি/ক্যাপ/আর্মডব্যান্ড ব্যবহার করতে হবে ও স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে দিতে হবে।

তাছাড়া মন্ডপে মদ ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে, মন্ডপের আশপাশে মেলা বা জুয়ার আসর বসানো যাবে না, ফুটানো যাবে না কোন আতশবাজি ও পটকা, কোন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা গুজবের ঘটনা ঘটলে আগে নিকটস্থ পুলিশকে জানাতে হবে।

প্রতীমা বিসর্জন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে, সতর্ক থাকতে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত লোক প্রবেশ না করে। তাছাড়া বিসর্জনের আগে পূজামন্ডপে তালিকা সংশ্লিষ্ট থানায় ও সিটিএসবি’তে প্রদান করতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.