দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত চিড়িয়াখানায় চার সাদা বাঘ শাবক

১৩৫

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর সংসারে জন্ম নেওয়া চার শাবক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

জন্মের এক মাস পর সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাদেরকে দর্শনার্থীদের সামনে নিয়ে আসেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

গত ৩০ জুলাই চিড়িয়াখানায় সাদা রঙের চারটি বাঘের জন্ম দেয় বাঘিনী পরী।

এ সময় জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক ড. বদিউল আলম, চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পদক চৌধুরী ফরিদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, চার সাদা ব্যাঘ্রশাবক বেশ সুস্থ-সবল রয়েছে। তারা খাঁচায় স্বভাবসুলভ লাফালাফি ও খুনশুটি করছে। এতদিন অন্ধকার খাঁচায় থাকলেও এখন থেকে ব্যাঘ্রশাবকগুলো উন্মুক্ত খাঁচায় থাকবে। দর্শনার্থীরা এসব ব্যাঘ্রশাবক প্রতিদিন দেখতে পারবেন। চারটি বাঘ শাবকের নাম আগেই রাখা হয়েছে। পদ্মা, মেঘনা, সাঙ্গু ও হালদা নামের চারটি বাঘ শাবকের মধ্যে তিনটি পুরুষ ও একটি মেয়ে শাবক। এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ব্যতিক্রমধর্মী সাদা বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ৫টিতে। মোট বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬টিতে।

সাদা বাঘ উন্মুক্ত করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আশা করছি চার সাদা বাঘ শাবক দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দেবে এবং চিড়িয়াখানার বাড়তি আকর্ষণ হিসাবেই থাকবে এগুলো। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রাণী আনার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান। তাছাড়া চট্টগ্রামের জঙ্গল ছলিমপুরে যে নাইট সাফারি পার্ক হবে, সেখানেও এখান থেকে ৮টি বাঘ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

চিড়িয়াখানা সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি বাঘ আনা হয় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে। এখানে বাঘ দুটির নাম রাখা হয় রাজ ও পরি। রাজ-পরির ঘরে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই তিনটি বাঘ শাবকের জন্ম হয়। এর মধ্যে দুটি ছিল বিরল প্রজাতির সাদা বাঘ শাবক। এর মধ্যে একটি মারা গেলেও অপর সাদা বাঘটি বেড়ে ওঠে সযত্নে। সেই রাজ-পরি সর্বশেষ গত ৩০ জুলাই চারটি বাঘ শাবকের জন্ম দেয়। এই চারটি বাঘ শাবকই হলো সাদা। একসঙ্গে বিরল প্রজাতির চারটি সাদা বাঘ শাবকের জন্ম হওয়ায় চিড়িয়াখানায় আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাড়তি যত্ন নেওয়া হয় চারটি বাঘের প্রতি।

অপরদিকে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চালু হয় ই-টিকিটিং কার্যক্রম। ফলে ঘরে বসেই দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানার টিকিট কাটতে পারবেন।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, চার বাঘ শাবক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রথমবারের মতো ই-টিকিটিং চালু হলো। ঘরে বসেই টিকিট প্রত্যাশীরা (www.chittagongzoo.gov.bd) তাদের টিকিট কাটতে পারবেন। ফলে চিড়িয়াখানায় গিয়ে আর লাইন ধরে সময় নস্ট করে টিকিট কাটতে হবে না।

এছাড়া প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩৩ বছর পর চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য চালু হয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড। আর চিড়িয়াখানার প্রাণী ও খাদ্য পরিবহনসহ বিবিধ কাজের জন্য একটি পিকআপ কেনা হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.