মায়ের দেয়া টিফিনে রয়েছে মায়ের মমতা, আদর ও স্নেহ, আর বাইরের খোলা খাবারে রয়েছে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা লাভের লোভ। এর বাইরে ধুলা-বালি, দুষিত পানি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী বলে এই খাবার গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জন্ডিস, হাপানী, ডায়বেটিস, ক্যান্সার, হ্দরোগসহ নানা প্রাণঘাতি রোগের আক্রমণ। আর জাঙ্কফুড হলেই তাতে নেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি, প্রচুর চর্বি, চিনি ও লবনের আধিক্য। সে কারণে আলুর চিপস, ক্যান্ডি, পিৎজা, বার্গার, চমুসা, সিঙ্গারা, ফুসকা, কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেড, চর্বি ও সোডিয়াম থাকায় অস্বাভাবিক স্থূলতা, বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগ টাইপ২ ডায়বেটিস, ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস, লিভার রোগের সংক্রম বেড়ে যায়। তাই “জাঙ্কফুড়কে না বলুন আর মায়ের দেয়া বাসায় তৈরী খাবারকে হ্যাঁ বলুন” শিরোনামে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে প্রচারণা কর্মসুচি উদযাপিত হয়েছে নগরীর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
বুধবার (২৪ আগষ্ট) নগরীর ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রচারণা কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল আবদুস সালাম। ক্যাব বিভাগীয় প্রকল্প সমন্বয়কারী শম্পা কে নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাব বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান।
প্রচারণা কর্মসুচিতে ভিডিও ও স্লাইড প্রদর্শনের মাধ্যমে জাঙ্কফুড বিষয়ে তথ্য পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও অংশগ্রহনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে উন্মুক্ত প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়।
বক্তারা বলেন, সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে নিরাপদ ও সুষম খাদ্যের বিকল্প নাই। শহরের অনেক ছাত্র-ছাত্রী জাঙ্কফুড গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে সুষম খাদ্য গ্রহণে অনাগ্রহী হয়ে স্থুলতা, অমনোযোগী শিক্ষার্থীতে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে মেধাবীর সংখ্যা শহরে ক্রমাগত হ্রাস পচ্ছে। সেকারনে দেশীয় ফল, শাক সবজি গ্রহণে আগামী প্রজন্মকে উদ্ভুদ্ধ করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর নগরীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে প্রচারণা কর্মসুচির মাধ্যমে তরুণ সমাজকে জাঙ্কফুড বিরোধী প্রচারনা ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের উপকারিতা বিষয়ে প্রচারণা কর্মসুচি আয়োজনের অংশ হিসাবে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.