জঙ্গল ছলিমপুরে ১৭৫ স্থাপনা উচ্ছেদ, ৭০০ একর জমি উদ্ধার
জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে অভিযান
সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুর ও আলীনগর এলাকায় জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম এবং পুলিশ সুপার চট্টগ্রামের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) অভিযানে আলী নগরে ১৭৫ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭০০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত জঙ্গল ছলিমপুর ও আলীনগর এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে জঙ্গল সলিমপুরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে আলী নগরে ১৭৫ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭০০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় আলীনগরে সরকারি জমিতে ইয়াসিনের নির্মিত অফিস, ঘর এবং তার বিশেষ টর্চার সেল গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জঙ্গল ছলিমপুরে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা অফিস; চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, স্পোর্টস ভিলেজ,সাফারি ও ইকোপার্ক র্যাব ও পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের জন্য স্থান নির্ধারণ করে সেখানে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুরে ৩ হাজার ১০০ একর সরকারি খাস জমি পাহাড় এবং টিলা কেটে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা অবৈধ বসতি স্থাপন করছে। শুধুমাত্র ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে এখানে আর কোনো অবৈধ স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না।
মমিনুর রহমান বলেন, সরকার একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেটুকু পাহাড় কাটা হয়েছে সেটুকুতেই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বাকি পাহাড়ের পরিবেশ প্রতিবেশ অক্ষুন্ন রাখা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে বনজ ফলজ দুই লাখ গাছ লাগানো হবে এখানে। এটি উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এখানে আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতাল, তথ্য কেন্দ্র, কারাগার ও সাফারি পার্কসহ সরকারের নানান স্থাপনা বাস্তবায়ন করা হবে। তাছাড়া এখানে যারা ভূমি দখল করে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। যারা পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে। যারা প্রকৃত ভূমিহীন ও গরীব তাদেরকে আমরা খুব দ্রুত সরিয়ে নিয়ে পুর্নবাসন করবো। পরিবেশ অধিদপ্তর এখানে সংঘঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে।
অভিযানে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মাসুদ কামাল, সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এ মং মারমা এবং তানভীর চৌধুরী, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সহ ৭০ জন পুলিশ, ৪০ জন র্যাব ও ৬০ জন আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.