ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বেঞ্চ ও বারের প্রচেষ্টা ও মানবিকতা থাকতে হবে: জেলা ও দায়রা জজ
চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞা বলেছেন, জনসাধারণ ও জনগোষ্ঠীর আস্থার শেষ আশ্রয়স্থল হল বিচার বিভাগ। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার জায়গাটি আমাদের যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। সরকারি আইন কর্মকর্তারা মেধা, বুদ্ধিমত্তার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের পক্ষে মামলা পরিচালনা করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করতে পারেন। রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসাবে মামলায় তাঁদের ভূমিকা অনন্য সাধারণ।
বুধবার (২০ জুলাই) জেলা জজ আদালত মিলনায়তনে ‘মামলা নিষ্পত্তিতে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের ভূমিকা শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বেঞ্চ ও বারের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও মানবিকতা থাকতে হবে। বিজ্ঞ আইনজীবীরা সমাজের অঘোষিত অভিভাবক। সমাজকে সুন্দর ও বাসযোগ্য রাখতে দেশ বরেণ্য আইনজীবীরা ভূমিকা রেখেছেন। এই জাতীয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। এই দেশ ও সমাজ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমাদের একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বিচার বিভাগের নতুন মেধার সংযোজন হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বিচারকরা বিচার কার্য পরিচালনা করে আসছি।
জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ আলোচক ছিলেন, চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী। তিনি বলেন, আমরা সৌভাগ্যবানদের একাংশ, মর্তের পৃথিবীতে মানুষ হয়ে মানুষের অপরাধের বিচার করছি। বিচারকের আসন একটি পবিত্র আসন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারি আইনজীবী ও প্রতিপক্ষের আইনজীবীদের ভূমিকা পর্যালোচনা করে তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করছি। বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি।
অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরী সঞ্চালনায় সভায় জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের পক্ষে মামলা পরিচালনা করি। কাউকে সাজা দেওয়া বা কারাগারে আটক রাখা সরকারি আইনজীবীর কাজ নয়। সোচ্চার সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান সরকার লড়াই সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রযন্ত্র স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাসী এবং সেই মতে কাজ করছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.