চট্টগ্রামের ঈদের জামাতে সকল দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া

১৭৫

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। চট্টগ্রাম নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ঈদ-উল-আযহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত সকাল পৌনে আটটায়। শত শত মুসল্লি সেখানে নামাজ আদায় করেন। জামাতে ইমামতি করেন সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী। নামাজ আদায়ের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা পেশা ও বয়সের মুসল্লিরা জাতীয় মসজিদে ভিড় করেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, ও আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতীয় মসজিদে ঈদ-উল-আযহার প্রধান জামাতে অংশ নেন। নামাজ শেষে সকলে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। মোনাজাতে করোনাভাইরাসের মহামারীসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সংকট মুক্তির জন্যও দোয়া করা হয়।

সারা বিশ্বের মুসলিমদের শান্তি কামনার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কামনা করে মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এই মসজিদে দুটি জামাত হয়েছে। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে নয়টায়।

এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদ-উল-আযহার জামাত স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান।

এছাড়া, সকাল সাড়ে সাতটায় নগরের লালদীঘি সিটি করপোরেশন শাহি জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একইভাবে সকাল সাড়ে সাতটায় হজরত শেখ ফরিদ (রা.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী ভিআইপি আবাসিক এলাকা জামে মসজিদে ঈদ-উল-আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে ঈদ জামাত স্ব-স্ব মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে ঈদগাহ এলাকায়।

ঈদ জামাত শেষে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন পশু কোরবানিতে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পশু জবাইয়ের জন্য ৩০৪টি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.