জিন তাড়ানোর নামে শ্লীলতাহানি: মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার

১৮৩

চট্টগ্রাম নগরীতে ‘‘ঝাঁড় ফুক” করে জ্বীন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে এক মুয়াজ্জিনকে আটক করেছে সিএমপি’র সদরঘাট থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনটি ঘটেছে নগরের সদরঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।

চট্টগ্রাম সিটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী বিগত ৩ মাস যাবৎ শারিরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডাক্তারের চিকিৎসা করান কিন্তু পুরাপুরি সুস্থ না হওয়ায় একই এলাকার একজনের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, হাজী নসু মালুম মসজিদ এর মুয়াজ্জিন মোঃ আশিকুল ইসলাম (৩৪) ঝাঁড় ফুক দিয়া চিকিৎসা করায়।

ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীর পিতা সরল বিশ্বাসে সেই মুয়াজ্জিন মোঃ আশিকুল ইসলাম(৩৪) কে দিয়ে তার মেয়েকে ঝাঁড় ফুক দিয়া চিকিৎসা করাতে বৃহস্পতিবার আনুমানিক ৪:৩০ মিনিটের দিকে তাকে বাসায় নিয়ে আসলে মেয়েকে দেখে বলেন যে, তাকে জ্বীন আছর করেছে।

ঝাঁড় ফুকের দ্রুত চিকিৎসা না করালে ৩ দিনের মধ্যে মারা যাবে। সে চিকিৎসা খরচ বাবদ ২১,০০০ হাজার টাকা লাগবে বলে জানায়। এইদিকে মেয়ের করুণ পরিণতির কথা শুনে ভয়ে মেয়েকে চিকিৎসা করানোর জন্য চিকিৎসা বাবদ নগদ দশ হাজার টাকা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত মুয়াজ্জিন মেয়েকে ঝাঁড় ফুকের চিকিৎসা শুরু করে জানান যে, দরজা জানালা বন্ধ করে রুমের মধ্যে একা চিকিৎসা করতে হবে।

ঘরের ভেতরে সব ব্যবস্থা করে দেওয়ার পর আটককৃত মোঃ আশিকুল ইসলাম(৩৪) ঝাঁড় ফুকের চিকিৎসার নামে বাসার দরজা জানালা বন্ধ করে তার যৌণ লালসা মেটাতে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়া যৌন নিপীড়ন করে।

এক পর্যায়ে সেই মেয়ের পিতা ভন্ড মুয়াজ্জিনের কুমতলব বুঝতে পেরে আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় আটক করে জরুরী সেবা-৯৯৯ এ ফোন করলে থানার অফিসার ও ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোঃ আশিকুল ইসলামকে আটক করে এবং মামলা রুজু হওয়ার পর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.