পাহাড়ের পাদদেশে বসতি ও স্থাপনা থাকবে না: মেয়র রেজাউল
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বৈধ বা অবৈধ যাই হোক পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থাকতে দেয়া হবে না। বসতি স্থাপনকারীদের জানমাল রক্ষায় সকল বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
শুক্রবার (৩০জুলাই) বিকেলে নগরীর লালখান বাজারস্থ শাহ্ গরীব উল্লাহ্ হাউজিং সোসাইটি ও কুসুমবাগ হাউজিং সোসাইটিতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এখানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি। তবে যেকোন সময়ে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটবার আশংকা রয়েছে। নিকট অতীতে ভারী বর্ষায় টাইগারপাসে পাহাড় ধসের ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে। তারপরও জনসচেতনতা আসেনি। মৃত্যু ভয়কে পরোয়া না করে যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসতি গড়েছেন তাদের স্বার্থেই এসব গুড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়গুলো বালিয়ারী। নির্বিচারে পাহাড়ের গাছপালা নিধন এবং ভূমি কর্তনের ফলে এগুলো অরক্ষিত ও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। তাই ভারী বর্ষায় অব্যাহত ঢলে প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে পড়ে। তিনি বলেন, পাহাড় প্রকৃতির সম্পদ। এগুলোকে রক্ষণাবেক্ষন করা যায়নি বলেই বারবার একই ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তিনি পাহাড় ধস রোধে নগরীর সকল পাহাড়ের গায়ে পরিকল্পিত রিটেইনিং দেয়াল নির্মাণের প্রস্তাবনা পেশ করে বলেন, এতে পাহাড়ের সুরক্ষা হবে। পাশাপাশি অতিবৃষ্টিতে পাহাড় থেকে মাটি নেমে খাল-নালা-নদর্মা ভরাট হওয়া বন্ধ হবে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনসহ নগর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে পরিবেশ ও পাহাড় সুরক্ষায় সব ধরণের কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মেয়র এসময় রিটেইনিং ওয়াল ছাড়া পাহাড়ের গায়ে কোন আবাসন ও স্থাপনা নির্মাণের নক্সা অনুমোদন না করার জন্য সিডিএর প্রতি অনুরোধ জানান।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.