চিন্ময়ের জামিন শুনানিসহ তিন আবেদন নাকচ

১২

ইসকনের চট্টগ্রামে মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ তিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

চিন্ময়ের পক্ষে আইনজীবীর ওকালতনামা না থাকায় আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে জানান আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে আদালতে রবীন্দ্র ঘোষ নামে এক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামলার শুনানি, নথি উপস্থাপন এবং জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনাসহ তিনটি দরখাস্ত দেন। কিন্তু তার সঙ্গে চট্টগ্রাম বারের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আসামির পক্ষে ওকালতনামা এবং ফাইলিং আইনজীবীরও লিখিত অনুমতিও ছিল না তার কাছে। তাই আদালত তার দরখাস্ত নট মেইন্টেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আদালতকে বলেছেন, চিন্ময়ের মামলাটির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য এবং তিনি নথি উপস্থাপন করবেন। আমরা বলেছি যে, তার এ ধরনের দরখাস্ত দেওয়ার আইনগত অধিকার নেই। কারণ তার কোনো ওকালতনামা নেই এবং যিনি এ মামলা ফাইল করেছেন তার পক্ষ থেকে তাকে কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ‘শুনানি করার জন্য অথবা নথি উপস্থাপনের জন্য অবশ্যই চট্টগ্রাম বারের একজন আইনজীবীর ওকালতনামা দিতে হবে অথবা এনগেজড কোনো আইনজীবীকে বলতে হবে যে, ঢাকা থেকে যিনি এসেছেন তাকে তিনি ক্ষমতা দিয়েছেন। তাই আদালত এটা রিজেক্ট করে দিয়েছেন।

নগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। আইনজীবী সমিতি এ হামলার জন্য ইসকন সদস্য ও সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। গত ৩ ডিসেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন শুনানিতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় আদালত সেটা পিছিয়ে ২ জানুয়ারি ধার্য করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.