৫২ হাজার মেট্রিক টন সয়াবিন তেল নিয়ে চার জাহাজ বন্দরে

১২

 

চার জাহাজে করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে আমদানি করা চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ৫২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল।

এর মধ্যে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ২১ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরের জলসীমায় আসে দুটি জাহাজ- এমটি আরডমোর শায়ানি ও এমটি ডাম্বলডোর। আর্জেন্টিনা থেকে এসব তেল আমদানি করা হয়েছে। এমটি আরডমোর শায়ানি তেল খালাস করে সোমবার বন্দর ছেড়েছে।

চার দিন পর মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ৩০ হাজার ৬০০ মেট্রিকটন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় এসেছে আরও দুটি জাহাজ- এমটি সানি ভিক্টরি ও এমটি জিঙ্গা থ্রেশার। এর মধ্যে সানি ভিক্টরি ব্রাজিল থেকে এবং জিঙ্গা থ্রেশার আর্জেন্টিনা থেকে তেল নিয়ে এসেছে। জাহাজগুলো থেকে তেল খালাসের প্রক্রিয়া অবশ্য এখনও শুরু হয়নি।

বন্দর থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে পরিশোধনের পর চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব তেল বাজারে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘৫২ হাজার মেট্রিকটন ক্রুড অয়েল নিয়ে চারটা জাহাজ এসেছে। একটা জাহাজের তেল খালাস অলরেডি শেষ হয়েছে। বাকি তিনটিও আউটার অ্যাংকারেজে খালাসের প্রক্রিয়ায় আছে।’

তিনি বলেন, দেশে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে এ জাতীয় পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে আসার পর থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

যাতে নির্বিঘ্নে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস করা যায়। এক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সয়াবিন তেলের জাহাজগুলোকে বলে জানান তিনি।

সূত্র মতে, চার জাহাজে আসা ৫২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন তেলের মধ্যে টিকে গ্রুপ ২৫ হাজার টন, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ হাজার ১০০ টন এবং টিকে গ্রুপ এনেছে ২০ হাজার টন তেল। আমদানি করা এসব তেলের টনপ্রতি দর পড়েছে ১ হাজার ২১৭ ডলার।

গত দু’সপ্তাহ ধরে বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট চলে আসছিল। খুচরা পর্যায়ে দোকান থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল অনেকটা উধাও হয়ে গিয়েছিল। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, কারখানাগুলো তেলের সরবরাহ কার্যত বন্ধ করে দেয়ায় এ সংকট তৈরি হয়।

এ পরিস্থিতিতে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সরকার বোতলের ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম পুননির্ধারণ করে দেয়। দুই ধরনের সয়াবিন তেলেই লিটারে দাম বেড়েছে ৮ টাকা। এখন প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা ও খোলা ১৫৭ টাকা। আগে বোতলের তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রি হতো।

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দাম পুননির্ধারণের পর অবশ্য বাজারে বোতলের সয়াবিন তেলের সরবারহ স্বাভাবিক হয়েছে এবং সংকট অনেকটাই কেটে গেছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.