কাল শপথ নেবেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে কাল রোববার শপথ নেবেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। শপথ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিএনপি কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বরত ইদ্রিস আলী বলেন, ‘মেয়র হিসেবে ডা. শাহাদাত হোসেন শপথ গ্রহণের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যাবেন। সেখানে মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর তিনি মেজবানে অংশ গ্রহণ করবেন। পুরান পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জোনাকি কমিউনিটি সেন্টারে এ মেজবানের আয়োজন করা হচ্ছে। ডা. শাহাদাতের শপথ গ্রহণ উপলক্ষে চট্টগ্রাম থেকে অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় অবস্থান করছেন। আগামী মঙ্গলবার শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে ফিরে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের কাছে পাঠানো স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ৩ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়রের শপথ গ্রহণ হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ নির্বাচিত মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করাতে সম্মতি দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত; ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।
এর আগে নির্বাচনে কারচুপি প্রমাণ পাওয়ায় গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন। একইসঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবকে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেন। ৮ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর করণীয় জানতে চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কারণ ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন সংশোধন করে রেজাউল করিম চৌধুরীসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই দিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.