আফতাব হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি সাজ্জাদসহ ৫

নগরীর চান্দগাঁওয়ে দিন-দুপুরে ফ্লিমি কায়দায় আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৬) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন সাজ্জাদের সহযোগী মো. হাসান, মোহাম্মদ, খোরশেদ ওরফে খালাতো ভাই খোরশেদ ও মো. হেলাল। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে  চান্দগাঁও থানায় নিহত আফতাবের বাবা মো. মুসা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আসামি সাজ্জাদ হোসেন বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে।  তিনি বিদেশে পলাতক শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানের সহযোগী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। গত ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটি শনাক্ত করেছে পুলিশ। চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী ও নিহতের বাবা মো. মুসা বলেন, তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ। এ ঘটনায় তাঁরা চান্দগাঁও থানায় দুই মাস আগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ওই সময় পুলিশ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করলে আজ তাঁর ছেলেকে গুলি করে মারতে পারত না।

নিহত আফতাব ইট, বালুর ব্যবসার করতেন। গত সোমবার ২১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন তাঁর সহযোগীদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে এসে আফতাবকে গুলি করে চলে যান। আশপাশে লোকজন থাকলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার কালারপুল এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সাজ্জাদ তাঁর দুই সহযোগীদের নিয়ে গুলি করেন। এ ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে উঠে আসে। ভয়ে ভবনমালিকেরা কেউ মামলা করেননি। ওই ঘটনার আগে গত ৩০ আগস্ট একই এলাকায় দুজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। মামলায় আসামি করা হয় সাজ্জাদ ও তাঁর সহযোগীদের।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.