রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডাসের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্যে
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নিন্দা
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্যে উল্লেখ করে প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ওই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানান।
এই বিষয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে স্বাধীনতার পক্ষের সরকার দেশ পরিচালনা করছেন। স্বাধীনতার জনক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানন্ত্রী হিসাবে সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের কল্যাণে একাধিক আইন প্রনয়ন করেছেন। তিনিই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা। বিশেষ একটি মহল সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিয়ে যে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন করেছেন আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় সাংবাদিকবান্ধব ছিলেন এখনও গণমাধ্যমের বিকাশ এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর চার মেয়াদের শাসনামলে বেসরকারি খাতে টেলিভিশনের লাইসেন্স প্রদান, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠাসহ গণমাধ্যমের বিকাশে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানকে ভুলভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। যা দুঃখজনক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আলহাজ্ব আলী আব্বাস আরও বলেন, সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে স্ব শরীরে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন। যা দেশে প্রথম। তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সর্বাধুনিক বঙ্গবন্ধু হল উদ্বোধন করেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ধরনের উদ্যোগ সাংবাদিকদের জন্য আন্তরিকতা বহিঃপ্রকাশ।
এই বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, আমরা মনে করছি, এ ধরনের প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, পৃথিবীতে চলমান করোনা মহামারী চলাকালে সাংবাদিকদের একাধিকবার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। সাংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে বলেই সরকার দলীয় অনেক নেতা, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন করতে পারছে। উপযুক্ত তথ্য উপাত্ত থাকলে সংবাদ পরিবেশনে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা নাই। দেশের একশ্রেনীর মানুষ ব্যক্তি উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে কারো বিরুদ্ধে খেয়ালখুশি মতো লেখাকে সাংবাদিকতা বলা যায় না। আমরা উক্ত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ আরও বলেন, পূর্বে কোন কারণ ছাড়াই সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছেন। সংবাদ সংক্রান্ত মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের গ্রেফতার না করে সমন জারির বিধানও শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রণীত হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছেন বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ। প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, সাংবাদিকরা ‘সম্পাদকীয় নীতিমালার সংবাদ মাধ্যমে’ কাজ করেন। তাই অসম্পাদিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য ব্যক্তি বিশেষের মনোজাগতিক অবস্থার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। যা সাংবাদিকতা চর্চার মধ্যে পড়ে না। সাংবাদিকতা নিয়মনীতি মেনে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অবাধ স্বাধীনতা বাংলাদেশে বিদ্যমান। তথ্য অধিকার আইনে সাংবাদিকরা যে কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। যা এই সরকারের আমলে হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.