লকার থেকে স্বর্ণালঙ্কার গায়েব : ইসলামী ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা !

৭১

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার লকার থেকে স্বর্ণালঙ্কার গায়েবের ঘটনায় ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিব উল্লাহ, চকবাজার ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইউনুস।

সোমবার (৩ জুন) রাতে চকবাজার থানায় ব্যাংকের গ্রাহক রোকেয়া আক্তার বারী বাদি হয়ে অভিযোগটি করেছেন।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর চট্টগ্রাম২৪ নিউজকে বলেন, ব্যাংকের গ্রাহক অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছেন। আমরা অভিযোগ হিসেবে গ্রহন করেছি। যেহেতু এটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়। এটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফশিলভুক্ত বিষয়। তাই যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অভিযোগটি দুদকে প্রেরণ করা হবে।

এদিকে সোমবার রাতে থানায় করতে যাওয়া মামলায় রোকেয়া বারী উল্লেখ করেন, ২০০৬ সাল থেকে তিনি ও তার মেয়ে নাসিয়া মারজুকা যৌথভাবে লকারটি বরাদ্দ পেয়ে ব্যবহার করে আসছেন। লকারে তিনি, তার মেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের মোট ১৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রাখা ছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২৯ মে দুপুরে তিনি ব্যাংকে স্বর্ণালঙ্কার আনতে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ইউনুস মূল দরজা খোলার পর তার লকার খোলা বলে জানান। মামলায় রোকেয়া বারী তার ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী রোকেয়া আক্তার বারীর ছোট ভাই জাকারিয়া আবেদীন সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা স্বর্ণ গায়েবে ঘটনায় থানায় মামলা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে অভিযোগ হিসেবে গ্রহন করেছে।

তিনি আরো বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখন আমাদের ফোনই ধরছেন না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে গতকাল দেখা হয়েছিল, “তারা জানিয়েছে, যেহেতু এটা  আমাদের হেড অফিস দেখছেন। তাই এখন আমরা আর কিছু বলতে পারবো না।”

২৯ মে‘র ঘটনা এতদিন পর কেন থানায় অভিযোগ নিয়ে আসলেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছ থেকে ব্যাংক কর্র্তপক্ষ সময় নিয়েছিলেন । কিন্তু গতকাল পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের কোন আপডেট দিতে পারেনি। তাই থানায় এসেছি মামলা করতে।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে জাকারিয়া আবেদীন বলেন,  আমরা গত ২৯ মে লকার দেখতে আসি। তখন লকার ইনচার্জ মো. ইউনুস লকার খুলতে গিয়ে দেখেন লকার খোলা এবং অক্ষত। এতে বোঝা যায়, ব্যাংকের লোকজন এই স্বর্ণ গায়েবের সঙ্গে জড়িত। কারণ লকারের চাবি গ্রাহকের কাছে একটি থাকে, আরেকটি থাকে ব্যাংকের হেড অফিসে। যেহেতু থানা মামলা না নিয়ে অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে, তাই আমরা আমাদের আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

এ সময় রোকেয়া আক্তার বারী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আমার অর্নামেন্টস (স্বর্ণালংকার) ফেরত চাই এবং এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি হোক।

এদিকে, ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ম্যানেজার  এস এম শফিকুল মওলা চৌধুরী জানান, গ্রাহকের অভিযোগ তদন্তে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।   তারা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.