পরিবেশ রক্ষা করেই বাস্তবায়িত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী নিয়ে আঞ্চলিক পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের খসড়া প্রতিবেদনের উপর মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ( ২৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ  মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী বাস্তবায়িত হলে আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে, তবে একই সাথে এই মহাপরিকল্পনা যেন পরিবেশগত কোন ঝুঁকি না নিয়ে আসে, সেদিকেও আমাদের নজর রয়েছে। এই শিল্পনগরীকে সবুজ এবং টেকসই হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ–বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, দীর্ঘমেয়াদে ইইউসহ উন্নত বিশ্বের বাজার ধরতে চাইলে সবুজ এবং টেকসই শিল্পায়নের বিকল্প নেই। তাই আমরা সেভাবেই এই শিল্পনগরী গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কোন গাছ কাটা হবে না এবং ভূ-গর্ভস্থ পানি রক্ষায় কাজ করা হবে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী শিল্পের বিস্তার ঘটাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অপরিকল্পিত শিল্পায়ন কমাবে; এই মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভিন্ন ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷

মিরসরাইয়ের সাংসদ মাহবুব উর রহমান বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে এই শিল্পনগরীর অবস্থান সুবিধাজনক; বহির্বিশ্ব চীনের বাইরে বিনিয়োগ করতে চাইলে যেন বাংলাদেশের কথা ভাবতে পারে, সেভাবেই আমাদের গড়ে তুলতে হবে।  এই অঞ্চলের পর্যটন খাতেও যেন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে, তা নিশ্চিতকরণেও পদক্ষেপ নিতে হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড এবং ফেনীর সোনাগাজী এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মহাপরিকল্পনা তিন ধাপে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রথম দুই ধাপ পাঁচ বছর মেয়াদি এবং তৃতীয় ধাপ ১০ বছর মেয়াদি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ বিপি পিপিএম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সহ জেলা প্রশাসন, বেজা ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।