ঘূর্ণিঝড় রেমাল : চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। তাই পায়রা ও মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৬ মে) সকালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করে সব ধরনের অপারেশনাল কাজ বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ (রোববার) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ নম্বর বিপদসংকেত ঘোষণা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর সাড়ে ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে জেটি থেকে সবগুলো জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বহির্নোঙরে অবস্থানকারী জাহাজগুলোকে নিরাপদে থাকা এবং বন্দরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সব সরঞ্জাম একস্থানে জড়ো করে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
এরআগে রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে ২০২৪ সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ)- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.