কমলো এলপিজির দাম, ১২২৮ টাকা ১২ কেজি

২৬৯

দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩১৩ টাকা থেকে ৮৫ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আগামীকাল শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ দাম ঘোষণা করা হয়। ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, কমিশনের সদস্য মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মো. কামরুজ্জামান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি কেজির মূল্য মূসক ব্যতীত ৯৫ দশমিক ৯১ টাকা এবং মূসকসহ সর্বোচ্চ ১০২ দশমিক ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ২২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও কমানো হয়েছে। যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। ডিসেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৭ দশমিক ২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। লিটারে কমেছে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা। এর আগে নভেম্বরে লিটারে বেড়েছিল ২ টাকা ৫০ পয়সা আর অক্টোবরে বেড়েছিল ৮ টাকা ১২ পয়সা।

জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপি গ্যাসের দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই পণ্যটির সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে প্রতি মাসের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছে। সৌদির দর ওঠানামা করলে এলপিজির মূল্য উঠা-নামা করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানেন না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.