কুমিল্লার ঘটনায় বিএনপি জামাতের ইন্ধন ছিল

১,৭৬৬

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের সে অপচেষ্টা সফল হয়নি। সরকার কঠোর হাতে দমন করে দেশে শান্তি শৃংখলা বজায় রেখেছে। এ ঘটনায় বিএনপি জামাতের ইন্ধন ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য হতে সব কিছু পরিস্কার হয়ে গেছে। ঘটনা ঘটার পর কারা মিছিল করেছে তা মানুষ দেখেছে। তিনি বলেন, বিশৃংলখা সৃষ্টিকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। দৃষ্টান্তমুলক বিচার করা হবে।

মন্ত্রী শনিবার (১৬ অক্টোবর) নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এডভোকেট নুুরুচ্ছফা তালুকদার পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কুমিল্লার ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি মহাসচিব বক্তব্য দিয়ে দেশের মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ সব বুঝতে পারছে। তার বক্তব্য শুনে তাই মানুষ হাসাহাসি করে। হনুমানও হাসে। তিনি বলেন, বিএনপি জামাত আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে দেশের বদনাম করার চেষ্টা করছে।

ছাত্রলীগকে পড়াশুনায় মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পড়াশুনা বাদ দিয়ে রাজনীতি করা যাবেনা। ক্ষমতার দোহাই দিয়ে অন্যায় করা বা ক্ষমতা জাহির করা যাবেনা। ক্ষমতাবানদের দায়িত্ব অনেক। তাদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। উদ্ধত আচরণ মানুষ পছন্দ করেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা দেখালে মানুষ বিরক্ত হয়।

ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী লেখাপড়া পছন্দ করেন। তিনি অনেককে অর্থায়ন করে বিদেশ থেকে পড়ালেখা শিখিয়ে এনেছেন। তিনি ছাত্রদের হাতে বই খাতা কলম তুলে দিয়েছেন। ছাত্রলীগকে দেশ গড়ার কাজে আতœনিয়োগ করার উপদেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছেন। ইডেন কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ ছাত্রলীগ করতে পারবেনা।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু। প্রধানবক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম। বক্তৃতা করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শিমুল গুপ্ত। সম্মেলনে উপজেলা প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। এবারের সম্মেলনে ২৩ জন সভাপতি ও ২৯ জন সাধারণ সম্পাদক পদে তাদের মনোনয়ন ফরম জমা করেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশনে নিয়মিত ছাত্রদের মধ্য হতে নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.