চট্টগ্রাম বন্দর পেছাল ৯ ধাপ

করোনার প্রভাব চট্টগ্রাম বন্দরে

২,৭৫৬

ব্যস্ত বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৯ ধাপ পেছাল। তালিকায় বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান এখন ৬৭।

লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক সবচেয়ে পুরানো সংবাদমাধ্যম সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে তালিকাটি প্রকাশ করে। গেল বছর চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮।

লয়েডস লিস্ট ২০২০ সালে বিশ্বের বন্দরগুলোর কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসেব করে শীর্ষ ১০০টি বন্দরের তালিকা করে। যাতে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার পরিবহনে এক বছরে নয় ধাপ পিছিয়েছে।

লয়েডস লিস্টের তথ্য অনুযায়ী, গত একবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন কমেছে ৮ শতাংশ। বন্দরে ২০২০ সালে ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। যা ২০১৯ সালে ছিল ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ একক কনটেইনার।

লয়েডস লিস্টের তথ্যানুযায়ী, গত বছর বিশ্বে ৬৩ কোটি ২০ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। যা ২০১৯ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কম।

২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮ তম, ২০১৯ সালে ৬৪ তম, ২০১৮ সালে ৭০ তম, ২০১৭ সালে ৭১ তম, ২০১৬ সালে ৭৬ তম ও ২০১৫ সালে ৮৭ তম স্থান দখল করে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দর।

বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার পোর্টের তালিকায় প্রথমে রয়েছে চীনের সাংহাই বন্দর, তারপর তালিকায় ধারাবাহিকভাবে রয়েছে সিঙ্গাপুর বন্দর, চায়নার নিংবো জওশান বন্দর, চায়নার সেনজেন বন্দর, চায়নার জুয়াংজউ বন্দর, চায়নার কিংডাও বন্দর, সাউথ কোরিয়ার বুসান বন্দর, চায়নার তিয়ানজিন বন্দর, চায়নার হংকং বন্দর, নেদারল্যান্ডের রোটারডাম বন্দর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বন্দর, মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্ল্যাং, বেলজিয়ামের এন্টওয়্যার্প, চায়নার জিয়ামেন, মালয়েশিয়ার তানজুং পেলেপাস, তাইওয়ানের তাওসিউং, আমেরিকার লস এঞ্জেলস, জার্মানির হামবার্গ, আমেরিকার লংবিচ, ভিয়েতনামের হো চি মিনহ সিটি, আমেরিকার নিউইয়র্ক বন্দর, থাইল্যান্ডের লাইম চাবাং, ইন্দোনেশিয়ার তানজুং প্রিয়ক, শ্রীলংকার কলম্বো বন্দর।

এছাড়া মরোক্কোর তেনজার মেড, ভারতের মান্দ্রা, চায়নার ইংকও,গ্রীসের পীরায়াস, স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া, চায়নার তাইকাং, ভিয়েতনামের হাইপোং, চায়নার ডালিয়ান, স্পেনের আলজেসিরাস, চায়নার রিজহাও, চায়নার লিয়ানইউংএং, জার্মানির ব্রেমেন, সৌদি আরবের জেদ্দা, আমিরিকার সাবানাহ, ভারতের জোহরলাল নেরু, পানামার কোলন, ফিলিপাইনের ম্যানিলা, ভিয়েতনামের চাই মেপ, ওমানের সালালাহ, জাপানের টোকিও বন্দর, ব্রাজিলের সন্তোষ, মিশরের পোর্ট সেইড, চায়নার কিঞ্জহও, ইন্দোনেশিয়ার তানজুং পেরাক, চায়নার পুজহও, কানাডার ভ্যানকাওভের বন্দর রয়েছে।
লয়েডস লিস্টের তালিকায় অবশ্য সেবার মান বিবেচনা করা হয় না।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বন্দরের তালিকা করে লয়েডস লিস্ট। ওই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিলো ৮৬তম। পরে প্রতিবছরই ধাপে ধাপে এগিয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর। এই তালিকায় গত বছরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮তম।

সমুদ্র পথে দেশের কেনটেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশ হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। ২০১৩ সাল থেকে টানা সাত বছর চট্টগ্রাম বন্দর এগিয়ে যাওয়া ধরে রেখেছিল। এমনকি করোনার সংক্রমণ শুরুর পরও গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতি ছিল।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.